ঈদযাত্রা: উত্তরের পথে যানবাহনের চাপ বাড়লেও জট নেই

‘গাড়ি বিকল বা দুর্ঘটনা না ঘটলে এবং বৃষ্টি না হলে কোনো সমস্যা হবে না।’
বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটার পূর্বে এলেঙ্গা মহাসড়কের সকাল সাড়ে ১১টার চিত্র। ছবি: স্টার

ঈদকে সামনে রেখে উত্তরের জেলাগুলোর গেটওয়ে হিসেবে পরিচিত ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালের দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব সংযোগ সড়কে কিছুটা যানজট থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা স্বাভাবিক হয়ে যায়।

হাইওয়ে পুলিশ জানায়, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ আর সড়কে ছোটখাটো দুর্ঘটনার কারণে ভোরের দিকে কিছু সমস্যা হলেও বর্তমানে যান চলাচল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাজেদুর রহমান সকাল ১১টায় দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। যানজট এড়াতে সেতুর পূর্ব সংযোগ সড়কটি একমুখী (উত্তর) করে দেওয়া হয়েছে। ঢাকামুখী যানবাহনগুলোকে সেতু পার হওয়ার পর ভূঞাপুর লিংক রোড দিয়ে বাইপাস করে দেওয়া হয়েছে।

'এ অবস্থা ঈদ পর্যন্ত চলবে। আশা করি গাড়ি বিকল বা দুর্ঘটনা না ঘটলে এবং বৃষ্টি না হলে কোনো সমস্যা হবে না', যোগ করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ভোরের দিকে কিছুটা যানজট ছিল। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর আশরাফ জানান, মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে কাজ করছেন তারা। সেতুতে যানবাহন সচল থাকলে সড়কে সমস্যা হবে না।

এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত) মোট ৩০ হাজার ৮৩৪টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৮২ লাখ ৭২ হাজার ৯৫০ টাকা।

সূত্র জানায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে চলাচল করে উত্তরাঞ্চলের ১৬টিসহ মোট ২১টি জেলার যানবাহন। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ১৫-১৮ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হলেও ঈদের সময় তা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। ফলে অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হয় ঘরে ফেরা মানুষ।

ঈদে মহাসড়কটি যানজটমুক্ত রাখতে প্রতিবছরই নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু একই সময়ে অতিরিক্ত সংখ্যক গাড়ি সেতু পার হতে গিয়ে বাধে বিপত্তি।

Comments