দেশের কারাগারে বিচারবর্হিভূত কোনো বন্দি নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। স্টার ফাইল ছবি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, দেশের কারাগারে বিচারবর্হিভূত কোনো বন্দি আটক নেই। তবে ৫ বছরের বেশি সময় ধরে ৬২১ জন বন্দির মামলা চলমান রয়েছে।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এটি প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের কারাগারে ৩৬৩ জন বিদেশি নাগরিক আটক রয়েছেন। দেশের কারাগারে ১৬টি দেশের নাগরিক আটক রয়েছেন। এরমধ্যে সব থেকে বেশি ভারতের নাগরিক ২১২ জন।

ভারতীয়দের মধ্যে ১১ জন কয়েদি, ৫৩ জন হাজতি এবং মুক্তিপ্রাপ্ত ১৪৮ জন। মিয়ানমারের ১১৪ জন নাগরিক রয়েছেন, যারা বাংলাদেশের কারাগারে আটক আছেন। অন্যান্য দেশের মধ্যে পাকিস্তানের ৭ জন, নাইরেজিয়া ও মালয়েশিয়ার ৬ জন করে, চীন ও বেলারুশের ৪ জন করে, ক্যামেরুন ও পেরুর ২ জন করে এবং আমেরিকা, বতসোয়ানা, জর্জিয়া, তানজানিয়া, মালয় ও অ্যাংগোলার ১ জন করে নাগরিক আটক রয়েছেন।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মাহবুব ‍উর রহমানের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে এ বছরের ৩১ মে পর্যন্ত হত্যা ও অস্ত্র মামলায় ৯৯৪ জন বাস্তচ্যুত মিয়ানমার নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানগুলোকে গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের দমনে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

স্বতন্ত্র সদস্য আব্দুল কাদের আজাদের প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, আইন-প্রয়োগকারী সংস্থা ২০২৩ সালে ৯৭ হাজার ২৪১টি মামলা দায়ের করে এক লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনেছে। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ২৯ হাজার ৩৩৬টি মামলা করে ৩৬ হাজার ৫৯২ জন মাদক কারবারিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

স্বতন্ত্র মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিলেট কারাগারসহ দেশের অন্যান্য কারাগারে বিচারবর্হিভূত কোনো বন্দি আটক নেই। তবে ৫ বছরের বেশ সময় ধরে ৬২১ জন বন্দির মামলা চলমান রয়েছে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ট্রাফিক পুলিশদের উচ্চ তাপমাত্রা থেকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য বর্তমানে প্রচলিত পোশাকের গুণগত মান পরীক্ষা করার পাশাপাশি প্রয়োজনে আরও আরামদায়ক পোশাক সরবরাহ করার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago