দুই সিটির ৪১ ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব বেশি

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় ফগিং কার্যক্রম। স্টার ফাইল ফটো

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশেনের (ডিএসসিসি) ২৯টি ওয়ার্ড এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশেনের (ডিএনসিসি) ১২টি ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব নির্দিষ্ট সূচকের চেয়ে বেশি পাওয়া গেছে।

এরমধ্যে ডিএসসিসির ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো, ১৩, ৪, ৫২, ৫৪, ১৬, ৩, ৫, ১৫, ১৭ ও ২৩ এবং ডিএনসিসির ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো, ১২, ১৩, ২০, ৩৬, ৩১, ৩২, ১৭ ও ৩৩।

আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে 'মৌসুমপূর্ব এডিস সার্ভে ২০২৪-এর ফলাফল অবহিতকরণ সভা' শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯৯টি ওয়ার্ডের ৩ হাজার ১৫২টি বাড়িতে এই জরিপ পরিচালনা করে ৪৬৩টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ও কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোলের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক শেখ দাউদ আদনান।

তিনি বলেন, ৪৬৩টি বাড়ির মধ্যে বহুতল ভবনে ৪২ দশমিক ৩৩ শতাংশ, স্বতন্ত্র বাড়িতে ২১ দশমিক ৬ শতাংশ, নির্মাণাধীন বাড়িতে ২১ দশমিক ৬ শতাংশ, সেমিপাকা বাড়িতে ১২ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং খোলা জায়গায় ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ লার্ভা পাওয়া যায়।

সর্বোচ্চ ব্রুটো ইনডেক্স (এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক) পাওয়া গেছে ডিএসসিসির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৭৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং ডিএসসিসির ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এই হার ৪৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। 

অপরদিকে, ডিএনসিসির ১২ নম্বর ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ৪৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং ডিএনসিসির ১৩ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে এই হার ৪০ শতাংশ।

মশার প্রজননক্ষেত্র হিসেবে প্লাস্টিকের ড্রামে ১৮ শতাংশ, মেঝেতে জমানো পানিতে ১৫ শতাংশ এবং বালতিতে জমানো পানিতে ১৪ শতাংশ চিহ্নিত হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক রোবেদ আমিন ডেঙ্গু রোগীদের আংশিক তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জানান, তারা বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করছেন যাতে একটি অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে বহির্বিভাগের রোগীদের তথ্য সংগ্রহ করা যায়। তারা শিগগির এই সিস্টেমটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চালু করবেন। 

যেহেতু এই ভাইরাস সারা বছরই সক্রিয় থাকে, সমীক্ষাটিও সারা বছরজুড়ে পরিচালনা করা উচিৎ বলে মত দেন অধ্যাপক শেখ দাউদ আদনান।

অনুষ্ঠানে ইমেরিটাস অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ জানান, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, কারণ এই মশা পরিষ্কার পানিতে জন্ম নেয়। 

'সবাই যদি এ বিষয়ে সচেতন না হয়, তাহলে এ বছর পরিস্থিতি বেশ ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে', বলেন তিনি।

এজন্য রাজউক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডসহ সরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বলেও মত দেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Not for kidney patient, they tried to rob bank for iPhones

Police say three robbers fabricated a story claiming that the robbery was to save a kidney patient

15m ago