‘গুম বন্ধ হয়নি, ধরন বদলেছে’
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিরুদ্ধে ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরও দেশে গুম বন্ধ হয়নি বলে দাবি করেছে দেশি-বিদেশি বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থার একটি প্ল্যাটফর্ম।
গুম হওয়া ব্যক্তিদের জন্য পালন করা আন্তর্জাতিক সপ্তাহ শুরুর প্রাক্কালে আজ এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গুম বন্ধ না হলেও এর ধরন বদলেছে। যারা গুম হয়েছেন তাদের বড় একটি অংশই অল্প কিছুদিন পরই মুক্ত হয়েছেন। রাজনৈতিক বিরোধী ও ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনের জন্য এটি দেশে একটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
যৌথ এই বিবৃতিটি দিয়েছে এশিয়ান ফেডারেশন অ্যাগেইনস্ট ইনভলানটারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স, এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন অ্যাগেইন্সট এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস, মায়ের ডাক এবং অধিকার।
বিবৃতিতে বলা হয়, গুমের শিকার ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের আইনি সুরক্ষার অভাব, নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর বিচারহীনতা ও ভিকটিমদের দুর্দশা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
এতে আরও বলা হয়, গুমের কথা অব্যাহতভাবে সরকারের অস্বীকার করা এবং গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিণতি সম্পর্কে জানানো ও তাদের খুঁজে বের করতে অনাগ্রহ পরিষ্কারভাবে প্রমাণ করে গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের এই ঘটনা নিরসনে সরকারের আগ্রহ নেই।
গুম হওয়া থেকে নাগরিকদের রক্ষায় আন্তর্জাতিক কনভেনশনে বাংলাদেশ সই না করার কথা উল্লেখ করে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলেছে, বাংলাদেশের আইনে গুমের সংজ্ঞা নির্ধারিত না থাকা এবং একে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত না করার আইনি সীমাবদ্ধতার সুযোগ নিয়ে সরকার ক্রমাগতভাবে এই অপরাধ সংঘটনের কথা অস্বীকার করে।
'গুম অবস্থা থেকে যারা ফিরে আসেন তারাও নিরাপত্তাহীনতার কথা ভেবে মুখ খোলেন না। গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের অন্য সদস্যদের নজরদারিতে রাখা হয়। সেই সঙ্গে তদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি ধামকির মধ্যে রাখে গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা,' যোগ করা হয় বিবৃতিতে।
Comments