চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে ‘নিখোঁজ’ এমপি আনোয়ারুল আজিম

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম। ছবি: সংগৃহীত

চিকিৎসার জন্য গত ১২ মে ভারতে গিয়েছিলেন ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ উপজেলা) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম।

তবে গত তিন দিন ধরে এমপি আজিমের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার।

তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন আজ রোববার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তিন দিন আগে বাবার সঙ্গে আমাদের শেষ যোগাযোগ হয়েছিল। তারপর থেকে বাবার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারিনি। আমরা খুব চিন্তিত।'

আজিমের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফ স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছেন, 'আমরা সব উপায়ে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কিন্তু পাইনি। আমরা তাকে নিয়ে চিন্তিত।'

এমপি আজিমের বোন তাসলিমা খাতুন বলেন, 'গত তিন দিন ধরে আমার ভাইয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি আমরা সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানিয়েছি।'

যোগাযোগ করা হলে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু আজিফ বলেন, 'আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়েছি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।'

তবে এ ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি বলে জানান তিনি।

এমপি আজিমের নিখোঁজের বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আবদুস সালাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ বিষয়ে সংসদ সদস্যের পরিবারের কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।'

এ বিষয়ে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ রোববার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, 'সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের নম্বর থেকে ১৬ মে সকালে তার এপিএসের নম্বরে ও ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারিকে ফোন দেওয়া হয়। কিন্তু সকাল হওয়ায় তারা দুজনই ফোন ধরতে পারেননি।'

তিনি আরও বলেন, 'তার কাছে একটি বাংলাদেশি সিমকার্ড ও একটি ভারতীয় সিমকার্ড ছিল। ভারতের সিমকার্ড থেকে আসা কল থেকে অবস্থান মুজাফফরাবাদে শনাক্ত করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর রাখছি। গুরুত্ব দিয়েই আমরা বিষয়টি দেখছি। আমরা ভারতের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।'

কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল আজিম আওয়ামী লীগের হয়ে ২০১৪ সাল থেকে গত ৩ মেয়াদ ধরে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন।
 

Comments

The Daily Star  | English

Are battery-run rickshaws Dhaka’s newest traffic menace? Hear what city dwellers think!

Dhaka's battery-run rickshaws spark debate over efficiency versus safety. Critics cite accidents, recklessness, and safety concerns, while supporters highlight cost-effectiveness. A High Court ban fuels tensions, affecting livelihoods and intensifying calls for regulation over elimination.

2h ago