করপোরেশনের সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে দ্রব্যমূল্য কমবে: সাঈদ খোকন
করপোরেশনের সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে দ্রব্যমূল্য কমবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র ও ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মিট দ্য প্রেসে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন 'এগিয়ে ছিল দক্ষিণ ঢাকা, স্মৃতির পাতায় ফিরে দেখা' শীর্ষক এই মিট দ্য প্রেসের আয়োজন করে।
সাঈদ খোকন বলেন, 'দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আমাদের মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত; গরিব মানুষকে তো বটেই, আমাদেরকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য এবং ওনি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, এই দ্রব্যমূল্য যাতে মানুষের নাগালের ভেতরে রাখা যায়।'
মূল্যস্ফীতির বৈশ্বিক কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত, সাধারণ মানুষের দুটি জিনিস অত্যন্ত প্রয়োজনীয়—আমিষ ও শর্করা। আমরা শর্করা পেয়ে থাকে ভাত, রুটি থেকে আর সবচেয়ে সস্তা মূল্যের আমিষ যেটা পাই ব্রয়লার মুরগি, তেলাপিয়া মাছ কিংবা পাঙাশ মাছ থেকে।
'ব্রয়লার মুরগিটা কিছু দিন আগেও ১৫০ টাকায় আমার গরিব-দুঃখি মানুষ কিনতে পারতো। মধ্যবিত্ত মানুষ কিনে নিতে পারতো। সেই ব্রয়লার মুরগি ২২৫ থেকে আড়াইশ টাকায় চলে গেছে। এটাকে কমানো সম্ভব, যদি কাঁচাবাজারগুলো আমরা চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পারি,' যোগ করেন তিনি।
ডিএসসিসির এই সাবেক মেয়র বলেন, 'কাঁচাবাজারে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে এটাকে কমিয়ে আমরা মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে পারি। এই এত প্রতিকূলতার মধ্যেও। চাঁদাবাজি বন্ধ হলে আমিষ স্বল্প মূল্যে আমরা জনগণের কাছে দিতে পারবো।'
সাঈদ খোকন বলেন, 'এই চাঁদাবাজিটা যারা করেন, পুলিশ যখন ধরতে যায়, তারা একটা কাগজ দেখায় সংশ্লিষ্ট করপোরেশনের যে, তারা বৈধতা নিয়ে চাঁদাবাজিটা করছিল। অর্থাৎ সিটি টোলের একটা প্রোটেকশন তারা পায়। আমি বলেছি, এই সিটি টোলের নামে যে চাঁদাবাজি, এটা যদি বন্ধ করা যায়, তাহলে স্বল্প আয়ের মানুষগুলো কাঁচাবাজারের জিনিস—শাক-সবজি থেকে শুরু করে ব্রয়লার মুরগি, তেলাপিয়া মাছ কিংবা তেলাপিয়া মাছ...(কিনতে পারবে), এটা (দ্রব্যমূল্য) আবার কমানো সম্ভব।'
'সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি আমরা করতে দিতে চাই না,' বলেন তিনি।
একই দলের রাজনীতি করায় আপনার দল থেকে যিনি মনোনীত হয়েছেন তার সমালোচনা করতে চাচ্ছেন না কিন্তু একজন নাগরিক বা সাবেক মেয়র হিসেবে কি মূল্যায়ন করবেন, গত চার বছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন যে কাজগুলো শুরু করেছিল, তার অনেকগুলো ব্যর্থ হয়েছে। আপনার কোনো মূল্যায়ন আছে গত চার বছরে কেমন চললো সিটি করপোরেশন—গণমাধ্যমকর্মীরা মত জানতে চাইলে সাঈদ খোকন বলেন, 'সেই মূল্যায়নটি হয়তো বা আমি আমার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিংবা আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের আড্ডায় করতে পারি।'
তিনি বলেন, 'আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একজন সদস্য। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মহান জাতীয় সংসদের সদস্য। আমার পাবলিক স্টেটমেন্টের ব্যাপারে সীমাবদ্ধতা আছে। আমার অ্যাকাউন্টিবিলিটি আছে। সুতরাং এই মূল্যায়নের ভার জনগণের ওপর রইল।'
Comments