মানিকগঞ্জে আসিম জাওয়াদের জানাজায় হাজারো মানুষ, দাফন সম্পন্ন

মানিকগঞ্জে আসিম জাওয়াদের জানাজায় হাজারো মানুষ, দাফন সম্পন্ন
আজ শুক্রবার দুপুরে (বাদ জুমা) শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় | ছবি: জাহাঙ্গীর শাহ/স্টার

চট্টগ্রামে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে (বাদ জুমা) শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে মানিকগঞ্জের সেওতা কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

এর আগে ঢাকায় দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে দুপুর ১২টায় হেলিকপ্টারে তার নিথর মরদেহ শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে আনা হয়।

হেলিকপ্টারে মরদেহের সঙ্গে আসেন তার বাবা আমানউল্লাহ, স্ত্রী অন্তরা আক্তার ও দুই সন্তান। জাওয়াদকে এক নজর দেখতে ভিড় করেন শত শত মানুষ। ছেলের মরদেহবাহী কফিন দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা নিলুফা খানম এবং স্বজনরা।

পরে জাওয়াদকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

সেখানে জাওয়াদের বাবা মোহাম্মদ আমানউল্লাহ বলেন, 'আমি কখনো ভাবিনি আমার ছেলে আমাকে রেখে, ওর আম্মুকে রেখে এ দুনিয়া থেকে বিদায় নেবে। সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি আমার, ওর দুটি ছোট ছেলে ও একটি মেয়ে আমার কাছে রেখে যাচ্ছে। আমি জানি না, কতটুকু ওর মতো করে আমি দেখতে পারব।'

বিমান বাহিনীসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমার সন্তানকে যেভাবে সম্মানিত করেছেন, এত সম্মান দিয়েছেন। আমি অভিভূত।

'আমার ডাক্তারি জীবনে আমি অনেক লাশ দেখেছি। অনেক কাটাছেঁড়া করেছি। ইজেকশন হয়েছে, আমি বুঝতে পারছি, হয়তো বা সে বেঁচে যাবে কিন্তু আল্লাহ ওকে নিয়ে যাবে এভাবে...আমি ঢাকায় ছিলাম, শোনার সঙ্গে সঙ্গে চলে যাই। আমি গিয়ে যখন দেখি, আমি বুঝতে পারি আমার জন্য কী অপেক্ষা করছে,' বলেন আমানউল্লাহ।

আমানউল্লাহ বলেন, 'পেশাগত জীবনে, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি ও কারও মনে বিন্দুমাত্র আঘাত দিয়ে থাকে, আপনারা ওকে মাফ করে দেবেন।'

স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। তার বাবা মোহাম্মদ আমানউল্লাহ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক এবং মা নিলুফার খানম সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।

Comments

The Daily Star  | English

New polls timing: BNP upbeat, process irks Jamaat, NCP

The interim government’s revised election timeline with certain conditions has stirred cautious optimism as well as raised questions among  political parties.

7h ago