‘গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণের সুপারিশ নারীর ক্ষমতায়নে মাইলফলক’

নারীর গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণে সুপারিশ করায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়েছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।

গত মঙ্গলবার স্থায়ী কমিটির সভায় নারীর গৃহকর্মের অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এর আগে গত বছরের এপ্রিলে জিডিপিতে নারীর গৃহস্থালি কাজ অন্তর্ভুক্তের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ২০১২ সাল থেকে নারীর গৃহস্থালি ও সেবামূলক কাজের মূল্যায়নের মাধ্যমে তা জাতীয় জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা ও জাতীয় আয় পরিমাপের পদ্ধতি সংস্কারের জন্য দাবি জানিয়ে আসছে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, 'নারীর অবমূল্যায়িত কাজের স্বীকৃতি দাবি ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে অ্যাডভোকেসি ও ''মর্যাদায় গড়ি সমতা'' ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেছে। এই উদ্যোগের ইতিবাচক প্রতিফলনে আমরা আনন্দিত এবং সরকারকে জানাই অভিনন্দন। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন মনে করে, এই অগ্রগতি বাংলাদেশের নারীদের ক্ষমতায়ন ও অগ্রযাত্রায় এক মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি জেন্ডার বৈষম্যও কমিয়ে আনবে।'

মানবাধিকার ও সুশাসন নিয়ে কাজ করা এই সংগঠনের বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, নারীর অর্থনৈতিক কাজে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা গৃহস্থালি কাজ। কোনো অর্থনৈতিক লেনদেন বা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশা না রেখেই নারীরা গৃহস্থালি কাজ করেন। জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও তাদের এই কাজ উৎপাদনের জাতীয় হিসাব অথবা জাতীয় আয় পরিমাপের পদ্ধতির (এসএনএ) বাইরে থাকে।

দেশের নীতি-কাঠামোর দুর্বলতা চিহ্নিত করা, মানুষের চিন্তা-আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, নারীর অবৈতনিক কাজের স্বীকৃতির পাশাপাশি পুনর্বণ্টন, গৃহস্থালি কাজের চাপ কমানোর জন্য ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে অ্যাডভোকেসির জন্য ২০১২ সাল থেকে কাজ করছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

4h ago