তাপদাহের মধ্যে অসুস্থ স্কুলের ১৩ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
ফরিদপুরের সালথায় তীব্র তাপদাহের মধ্যে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক ও ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ পড়েছে।
আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্কুলের শিক্ষকরা বলছেন, স্কুলের একটি টিউবওয়েলের পানি খেয়ে তারা অসুস্থ হয়েছেন। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা অসুস্থ হয়েছেন অতিরিক্ত গরমের কারণে।
রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শুক্লা রাণী শীল বলেন, 'স্কুল দির্ঘদিন বন্ধ ছিল। আজ স্কুল খোলা হয়। সকালে স্কুলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে ক্লাসরুম ও মাঠে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করি। কিছু সময় কাজ করার পর তীব্র গরমে আমাদের সবার পানির পিপাসা পায়। তখন সবারই গলা শুকিয়ে আসছিল। পরে স্কুলের টিউবওয়েল চেপে পানি বের করে খাই। কিন্তু কিছুক্ষণ পর একে একে আমিসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বমি করতে থাকি এবং অসুস্থ হয়ে পড়ি।'
'পরে অসুস্থদের দ্রুত সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া যাওয়া হয়। সেখানে সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে', বলেন তিনি।
সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল মমিন বলেন, 'টিউবওয়েলের পানিতে এখনও কোনো ধরনের বিষক্রিয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রচণ্ড গরমের কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে দুজনের চিকিৎসা এখনও চলছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত।'
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, 'আজ স্কুল খোলার পর শিক্ষক-শিক্ষাথীরা সকালে স্কুলে এসে গরমে টিউবওয়েলের পানি খেয়ে অসুস্থ পড়লে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সবাই মোটামুটি সুস্থ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে, গরমের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে।'
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, 'আমি শুনেছি পানি খাওয়ার পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ওই টিউবওয়েলটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এর পানি পরীক্ষা করে দেখার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে। পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।'
Comments