বরগুনা ও নরসিংদীতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত অন্তত ১৯
বরগুনা ও নরসিংদীতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছে।
গতকাল অনুষ্ঠিত বরগুনার আমতলী পৌর নির্বাচন ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চর আড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আজ রোববার সকালে পৃথক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সকাল ৮টার দিকে আমতলী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে লোছা এলাকায় জয়ী ও পরাজিত মেয়র প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমতলী পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মো. মতিয়ার রহমানের কর্মী—সমর্থক ও পরাজিত মেয়র প্রার্থী মো. নাজমুল আহসান খানের কর্মী—সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে নারী ও পুরুষসহ কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গুরুতর ৪ জনকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি বলেন, 'খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।'
নরসিংদী
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চর আড়ালিয়া ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ৭ জন আহত হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলী পূর্ব খামারপাড়া এলাকায় ইউপি নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী ইউপি সদস্য হারুন মোল্লার সমর্থক ও পরাজিত প্রার্থী নোয়াব মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাফায়েত হোসেন পলাশ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে হারুন মোল্লার সমর্থকরা বিজয় মিছিল বের করে। এ সময় নোয়াব মিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে ইউপি সদস্য হারুন মোল্লা (৪২), তার ভাই মো লোকমান হোসেন (৪৬), ইব্রাহিম (৭০), মুক্তার হোসেন (৩৪), খোরশেদ (৫০), মোহাম্মদ (২২) এবং পরাজিত প্রার্থী নোয়াব মিয়ার সমর্থক মো. জামান মিয়া (২৮) আহত হন। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
জানতে চাইলে ইউপি সদস্য হারুন মোল্লা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকালে সাধারণ ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার পথে নোয়াব মিয়া, মোজাম্মেলসহ তাদের কয়েকজন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।'
মন্তব্য জানতে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত নোয়াব মিয়াকে ফোন করা হলেও, তিনি রিসিভ করেননি।
যোগাযোগ করা হলে ওসি সাফায়েত হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের হাতাহাতিতে ৪-৫ জন আহত হয়েছেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।'
Comments