চট্টগ্রামে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও নারী দিবস পালিত

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় হিল উইমেন্স ফেডারেশন চট্টগ্রাম নগরের চেরাগী পাহাড়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক আসর ও সমাবেশের আয়োজন করে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমাবেশে বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে নারীর ওপর সহিংসতার বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং পাহাড়ি নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

সমাবেশে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমার সভাপতিত্বে ও রূপসী চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের চট্টগ্রাম পূর্ব-৩ সভাপতি অ্যাডভোকেট ভুলন ভৌমিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সদস্য অপু দাশ গুপ্ত, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি কণিকা দেওয়ান, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের চট্টগ্রাম জেলার সদস্য দীপা মজুমদার ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা।

প্রতিষ্ঠার তিন যুগপূর্তিতে অভিবাদন জানিয়ে সংগঠনের সভানেত্রী নীতি চাকমা বলেন, 'পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিবাদী নারীদের সাহসী ঠিকানা হিল উইমেন্স ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠার ৩ যুগপূর্তিতে সংগ্রামী অভিবাদন। এরশাদের শাসনামলে এক কঠিন সময়ে গঠিত হবার পর থেকে হিল উইমেন্স ফেডারেশন দীর্ঘপথ পরিক্রমা করে বর্তমান পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সংগঠন বিশ্বস্ততার সঙ্গে জনগণের লড়াই সংগ্রামে নিয়োজিত আছে।'

পার্বত্য চট্টগ্রামে যৌন সহিংসতা তুলে ধরে নীতি চাকমা বলেন, 'পার্বত্য চট্টগ্রামে গত বছরে যৌন সহিংসতার ঘটনা ঘটে ২৩টি। তারমধ্যে ১০টি ধর্ষণ ও গণধর্ষণ, ৮টি ধর্ষণের প্রচেষ্টা। ২টি অপহরণের ঘটনা ঘটে।'

নারীনেত্রী নীতি চাকমা বলেন, 'পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু রাখা হয়েছে। ফলে খুনী, অপরাধী, ধর্ষক, দুর্বৃত্তদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে।'

ভ্লুন ভৌমিক বলেন, 'নারীদের আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার দিতে হবে।'

অপু দাশ গুপ্ত বলেন, 'পুঁজিবাদী সমাজে নারীদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

7h ago