সব ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তথ্য অনলাইনে প্রকাশ করতে হবে: বিআইপি

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নগর–পরিকল্পনাবিদদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)। ছবি: সংগৃহীত

যে উদ্দেশ্যে ভবন তৈরি করা হয়েছে, তা ওই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, তা যাচাই করতে ঢাকার সব ভবনের তথ্য অনলাইনে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে নগর–পরিকল্পনাবিদদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)।

তারা বলেছে, এই তথ্য প্রকাশ করা হলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো সাধারণ মানুষই চিহ্নিত করতে পারবে। সেই সঙ্গে, কোনো ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে কোনো সরকারি কর্তৃপক্ষ নোটিশ দিয়ে থাকলে তা ভবনের সামনে টাঙিয়ে রাখা উচিত।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে সংগঠনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নিজদের এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন সংগঠনটি। 'বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড এবং ভবনে জীবনের নিরাপত্তা: বিআইপির পর্যবেক্ষণ ও প্রস্তাবনা' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজের শুধুমাত্র অফিসিয়াল স্পেস হিসেবে ব্যবহারে রাজউকের অনুমোদন ছিল। কিন্তু নিয়ম ভঙ্গ করে এখানে আটটি রেস্টুরেন্ট, একটি জুস বার, কফি শপ ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রীর দোকান ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। ভবন নির্মাণ বিধিমালা ও নগর পরিকল্পনার ব্যত্যয় ঘটিয়ে এটা করা হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, ভবনটিতে কার্যকর কোনো অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ও পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ভবনমালিক ও ভবনের ব্যবহারকারীদেরকে বারবার নোটিশ দিয়েই দায় সেরেছে।

ভবনটিতে কোনো জানালা এবং বাতাস চলাচলের পর্যাপ্ত পথ না থাকায় সর্বাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভবটির একমাত্র সিঁড়িটিও গ্যাস সিলিন্ডারে ভরা থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নকশা, নির্মাণ এবং পরিচালনা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি আইন ও নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন ভবনটির মালিক।

এ ঘটনায় রাজউক, সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বিস্ফোরক পরিদপ্তরের দায় থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগের আগুনের ঘটনায় কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে দায়িত্বে অবহেলার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি। একের পর এক এ ধরনের ঘটনার পেছনে এটি আরেকটি বড় কারণ।

Comments

The Daily Star  | English

Banking fix may cost $5b-$6b

Says finance adviser; the amount is way below IMF’s $35b estimate

13h ago