বিশ্ব ইজতেমা মাঠ, ময়লা-আবর্জনা আর দুর্গন্ধ
মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা শেষ হয়েছে গত রোববার। তবে এখনো ইজতেমা মাঠের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করেনি গাজীপুর সিটি করপোরেশন।
সরেজমিনে আজ মঙ্গলবার টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ময়লায় সয়লাব হয়ে আছে ১৬০ একরের ইজতেমা ময়দান ও তার আশপাশের এলাকা। মাঠের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পলিথিন, যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ। শত শত বাঁশের খুঁটিতে ঝুলছে পাটের চট। রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য স্থানে পচা-বাসি খাবারের স্তূপ থেকে ছড়াচ্ছে উৎকট দুর্গন্ধ।
বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিশ্ব ইজতেমা মাঠ ও আশপাশে ময়লা-আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। ১০ থেকে ১২ লাখ মুসল্লির ফেলে দেওয়া পচা-বাসি খাবার যত্রতত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। বাতাসে উড়ছে নোংরা পলিথিন। জনস্বাস্থ্যের জন্য এক ভীতিকর অবস্থা তৈরি হয়েছে।'
ইজতেমা মাঠ থেকে এসব আবর্জনা সরিয়ে নিতে এখন পর্যন্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশন কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মী পাঠাতে পারেনি বলেও জানান তিনি।
মোহাম্মদ সায়েম বলেন, 'আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কাছে ইজতেমা মাঠ হস্তান্তর করেছি।'
জেলা প্রশাসকের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, 'মাঠ কবে খুলবে, কে আবারও দায়িত্ব পালন করবে এসব জেলা প্রশাসক সিদ্ধান্ত নেবেন।'
ইজতেমা আয়োজন কমিটি জানায়, এবার ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে ১০ থেকে ১২ লাখ মুসল্লি জমায়েত হয়েছিলেন। প্রথম পর্বে ৭২টি দেশ থেকে আট হাজার এবং দ্বিতীয় পর্বে ৬৫ দেশের নয় হাজার ২৩১ জন বিদেশি মেহমান অংশগ্রহণ করেন। চলতি মাসের ২ থেকে ৪ তারিখ প্রথম পর্ব ও ৯ থেকে ১১ তারিখ দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
গত রোববার সকাল ১১টা ১৭ মিনিট থেকে ১১টা ৪৩ মিনিট পর্যন্ত আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় এই জমায়েত।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বর্জ্য পরিষ্কার আমাদের নিয়মিত কাজের অংশ। প্রতিদিন বর্জ্য পরিষ্কারের কাজ চলবে।'
ইজতেমা মাঠের আবর্জনা সরিয়ে নিতে বিশেষ কোনো ব্যবস্থা আছে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'চাহিদা অনুযায়ী পরিচ্ছন্নতাকর্মী দেওয়া হবে।'
Comments