সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে চট্টগ্রামে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযেগিতা

চট্টগ্রাম সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো চট্টগ্রাম বিভাগীয় আন্তপ্রতিষ্ঠান বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযেগিতা ২০২৪।

আজ রোববার সকাল ১১টায় এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে বেলুন-ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম সেখ।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক (উপসচিব) কাজী নাজিমুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

প্রধান অতিথি মো. খায়রুল আলম সেখ বলেন, সরকার সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে শিশুবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। সমাজের এতিম, প্রতিবন্ধী ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক বিকাশে সমাজসেবা অধিদপ্তর বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। আজকের এ সুন্দর আয়োজন যার অন্যতম উদাহরণ। তিনি সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের কল্যাণ ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক (উপসচিব) কাজী নাজিমুল ইসলাম। তিনি বলেন সমাজসেবা অধিদপ্তর একটি বহুমুখী কর্মসূচি সমৃদ্ধ দপ্তর। এ দপ্তরের আওতায় সমগ্র দেশে প্রায় ৫৪টি কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। এ অধিদপ্তরের অন্যতম কর্মসূচি শিশু সুরক্ষা কার্যক্রম। সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় সারা দেশে ৮৫টি শিশু পরিবার পরিচালিত হচ্ছে। তাছাড়া পরিত্যক্ত শিশু, অভিভাবকহীন শিশু ও প্রতিবন্ধী শিশুদের সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। তিনি সমাজের এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সুরক্ষায় সমাজের সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আশার আলো চট্টগ্রাম অধ্যক্ষ কমান্ডার সৈয়দা শাহানা ইয়াছমিন, বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোস্তফা মোস্তাকুর রহিম খান, চট্টগ্রাম বিভাগের সকল উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, সমাজসেবা অফিসার ও কর্মচারীবৃন্দ।

বিভাগীয় পর্যায়ের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় ৫৭টি ইভেন্টে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার ২০টি প্রতিষ্ঠানের ৬৫০ জন শিশু অংশগ্রহণ করছে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh RMG sector

RMG sector on edge as tariff talks make no headway

The diverging outcomes threaten to create a multi-tiered tariff landscape in Asia, placing nations like Bangladesh at a serious disadvantage in the US market.

12h ago