তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে যা বললেন আইনমন্ত্রী

বিদেশে থাকা সাজাপ্রাপ্তদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ আরও শক্তিশালী করা হবে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: সংগৃহীত

দেশের আদালত দ্বারা সাজাপ্রাপ্ত এবং অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ করে যারা সাজাপ্রাপ্ত, তাদেরকে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ আরও শক্তিশালী করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আজ শুক্রবার সকালে আখাউড়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সাজাপ্রাপ্ত সব আসামিকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আনিসুল হক বলেন, 'আমাদের দেশের আদালত দ্বারা সাজাপ্রাপ্ত এবং অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ করে যারা সাজাপ্রাপ্ত, তাদের সকলকে বিদেশ থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা আমরা নেবো, উদ্যোগ নেবো এবং উদ্যোগ যেটা আছে, সেটাকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করব।'

এই সংসদের অধিবেশনে শ্রম আইন পাস করা হবে বলেও জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।

শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে হয়রানি বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১২ মার্কিন সিনেটরের চিঠি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি যতদূর জানি, আমি যতদূর এই মামলার কাগজপত্রে দেখেছি, সেখান থেকে আমি এইটুকু বলতে পারব যে, বিচারিক আদালতে সুষ্ঠুভাবেই আইনের যেই ধারা, সেই ধারা অনুযায়ী বিচার হয়েছে। আমি এর থেকে বেশি কিছু বলব না। তার কারণ হচ্ছে যিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, তিনি নিশ্চয়ই আপিল করবেন এবং সেখানে কোনো প্রভাব পড়ুক, আমি চাই না।'

সকালে স্থানীয় উপজেলা পরিষদ আয়োজিত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও আওয়ামী লীগ আয়োজিত পথসভায় অংশ নিতে দুই দিনের সফরে ঢাকা থেকে মহানগর প্রভাতী ট্রেনযোগে আখাউড়া যান আনিসুল হক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য তিনি।

আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সারওয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার জীবন প্রমুখ আইনমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। পরে আইনমন্ত্রী সড়ক পথে নিজ উপজেলা কসবার উদ্দেশে রওনা হন।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

11h ago