ছাত্রফ্রন্ট নেতা ও অভিভাবককে মারধরের অভিযোগ ডিএসসিসি কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

কাউন্সিলর
ডিএসসিসির ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মো. আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

নতুন পাঠ্যক্রম বাতিলের দাবিতে গণস্বাক্ষর নেওয়ার সময় ছাত্রফ্রন্ট নেতা ও অভিভাবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ডিএসসিসির ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলমগীরের বিরুদ্ধে।

আজ রোববার সকালে পুরান ঢাকার আনোয়ারা বেগম মুসলিম গার্লস হাইস্কুল ও কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার মোজাম্মেল হক সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক, নাহিয়ান রাহাত ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি ও নাহিয়ান শাবাব একই শাখার অর্থ সম্পাদক। অভিভাবকরা হলেন সেলিম ও তাসনিম ফাতেমা।

নতুন কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে ওই স্কুলের সামনে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করছিলেন তারা। তাদেরকে প্রায় তিন ঘণ্টা কলেজের একটি কক্ষে আটকে রেখে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ মোজাম্মেল হকের।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে অভিযোগ, 'কাউন্সিলর শেখ মো. আলমগীর অনুসারীদের নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছেন।'

পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে বলে জানান তিনি।

বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সালেহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন জন ছাত্র ও দুইজন অভিভাবককে কলেজের একটি রুম থেকে উদ্ধার করা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই তারা গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করছিলেন বলে তারা পুলিশকে জানান। তবে তারা মারধরের কোনো অভিযোগ দেয়নি।

যোগাযোগ করা হলে কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ ফলাফল প্রকাশ নিয়ে আমরা ব্যস্ত ছিলাম। তারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে কলেজে প্রবেশ করে। ভুল বোঝাবুঝির কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।'

এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ আবদুর রশিদ বলেন, 'কাউন্সিলর আলমগীর আমাদের স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি। তিনি তখন স্কুলেই উপস্থিত ছিলেন। তবে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করতে যারা এসেছিল, তাদের বিচারের দায়িত্ব তাকে আমরা দেইনি।'

অভিযোগের বিষয়ে কাউন্সিলর শেখ মো. আলমগীর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মারধরের অভিযোগ সত্য নয়। আমি বা আমার লোকজন কাউকে মারধর করেনি। স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার অনুষ্ঠানে আমি নতুন পাঠ্যক্রমের প্রশংসা করে বক্তব্য দিচ্ছিলাম। এ সময় একজন অভিভাবক বিশৃঙ্ক্ষল আচরণ করায় সংক্ষুব্ধ অন্যান্য অভিভাবকরা তার গায়ে হাত তুলে থাকতে পারে। আমার সামনে মারধরের ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদেরকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

US to make history either way

Kamala Harris and Donald Trump launched a final frenzied campaign blitz yesterday, hitting must-win Pennsylvania on the last day of a volatile US presidential race that polls say is hurtling towards a photo finish.

9h ago