ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল রামগঞ্জের বাসিন্দা

‘৫০ বছরের জীবনে এমন কম্পন দেখিনি’

রামগঞ্জের বাসিন্দারা বলছেন, ভূমিকম্পের পর  আশপাশের এলাকা থেকে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর আসেনি।
বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কায় বাংলাদেশ
প্রতীকী ছবি | সংগৃহীত

শনিবার সকালে দেশকাঁপানো ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার আবু তাহের জানান, কম্পন শুরু হওয়ার পর আতঙ্কে অনেকে রাস্তায় বেরিয়ে খোলা জায়গায় আশ্রয় নেন।

তাহের রামগঞ্জের দরবেশপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বলেন, 'আমি নিজেও খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। আমার ৫০ বছরের জীবনে এমন কম্পন দেখিনি।'

আবহাওয়া অফিস বলছে, রিখটার স্কেলে আজকের ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস'র তথ্য অনুসারে, রামগঞ্জ উপজেলা থেকে আট কিলোমিটার পূর্ব ও উত্তর-পূর্বে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল।

রামগঞ্জের বাসিন্দারা বলছেন, ভূমিকম্পের পর  আশপাশের এলাকা থেকে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর আসেনি।

লক্ষীপুরের জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান জানান, সাড়ে ৯টার দিকে শহরের স্টেডিয়ামের দিকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। বলেন, 'হঠাৎ ঝাঁকুনিতে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকলে তা জানানোর জন্য ইউএনওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'

রামগঞ্জের প্রতিবেশী উপজেলা চাটখিলের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, 'আমি যে বাসভবনে থাকি সেটা অনেক আগেই পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ভূমিকম্প শুরুর সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজনকে নিয়ে দোতলা থেকে নিচে নেমে আসি।'

এদিকে ভূমিকম্পের সময় নোয়াখালীর মাইজদির বহুতল ভবনের বাসিন্দাদের ভেতরেও আতঙ্ক দেখা দেয়।  

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহাবু্বুর রহমানও জানান, জেলার কোথাও থেকে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর তিনি পাননি। তিনি বলেন, 'ভূমিকম্পের সময় সকালের রোদে বসে ছিলাম। হঠাৎ তীব্র কম্পন অনুভব করি।'

সকালের এই ভূমিকম্পে উৎপত্তিস্থল ও এর আশপাশের অঞ্চলসহ ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, চুয়াডাঙ্গা, নোয়াখালী, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, শেরপুর, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, ফেনী, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কম্পন অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

6h ago