আশুলিয়ায় পুলিশ-পোশাকশ্রমিক সংঘর্ষ, রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ

গত শনিবার আশুলিয়ায় আন্দোলনরত পোশাকশ্রমিকদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করছে পুলিশ। ছবি: পলাশ খান/স্টার

আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার আবদুল্লাহপুর-বাইপাল সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে পোশাকশ্রমিকদের সংঘর্ষ বাধে। এতে তিনজন আহত হয়েছন।

আজ শনিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের সংবাদদাতা জানান, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করছে এবং জলকামানও ব্যবহার করছে। সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে একজন আমিরুল ইসলাম, যিনি পেশায় রিকশাচালক। আহত বাকি দুইজন পোশাকশ্রমিক, যাদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা ও স্থানীয়রা জানান, সকাল ৮টার দিকে পোশাকশ্রমিকরা আবদুল্লাহপুর-বাইপাল সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ এসে তাদের ধাওয়া করলে শ্রমিকরা ইট-পাটকেল ছোড়েন। এরপর পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

স্প্লিন্টারবিদ্ধ তিনজনকে তাৎক্ষণিক স্থানীয় নারী ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে ডেইলি স্টারকে জানান হাসপাতালের চিকিৎসক জয় ভট্টাচার্য।

তিনি জানান, আহত আমিনুলকে হাসপাতালটিতেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকি দুইজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করছে পুলিশ। ছবি: আকলাকুর রহমান আকাশ/স্টার

হাসপাতালে গণমাধ্যমকর্মীদের আমিরুল জানান, রিকশা নিয়ে জামগড়া এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি আহত হন।

ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি, উত্তর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল হক ডেইলি স্টারকে জানান, পোশাকশ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ আকাশের দিকে তাক করে গুলি ছোড়ে।

এতে কেউ আহত হননি বলে দাবি করেন তিনি।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ নাসের জনি বলেন, সকালে আশুলিয়ায় পোশাক কারখানা খোলার পর শ্রমিকরা হাজিরা দিয়ে কারখানা থেকে বের হয়ে রাস্তায় জড়ো হচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের সরিয়ে রাস্তা খালি করতে গেলে তারা ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও জলকামান ব্যবহার করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

আশুলিয়া, কোনাবাড়ী, গাজীপুর, মিরপুর, মৌচাক ও সাভারে প্রায় ৫০০ কারখানা আজ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গার্মেন্টস মালিকরা। শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে কারখানাগুলো বন্ধ ছিল।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ও বাড়িভাড়া অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ করছেন পোশাকশ্রমিকরা।

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

1d ago