সে বসে ডিনার খাক, সে বসে ডায়ালগ করুক: পিটার হাসের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী

‘যেভাবে পিটিয়ে পিটিয়ে পুলিশকে হত্যা করেছে, ওই খুনিদের সঙ্গে আবার কীসের বৈঠক, খুনিদের সঙ্গে কীসের আলোচনা?’
গণভবনে বেলজিয়াম সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সে (পিটার হাস) বসে ডিনার খাক, সে বসে ডায়ালগ করুক।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে গণভবনে বেলজিয়াম সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

পিটার হাস আজ নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলেন। সেখানে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি সব পক্ষ শর্তহীন সংলাপে বসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, 'পার্লামেন্টারি সিস্টেমে বিরোধীদলের একটা সংজ্ঞা আছে। এখানে বিরোধীদল বলতে পার্লামেন্টে যাদের মেম্বার আছে, নির্বাচিত প্রতিনিধি আছে, তারা হলো বিরোধীদল। এর বাইরেরগুলো কিন্তু দল হিসেবে গণ্য হয় না। আমেরিকাতেও হয় না। ট্রাম্প তো বিরোধীদল, ট্রাম্পের দলকে তারা কি বলে? তাদের তো তারা বিরোধীদল হিসেবেই দেখে। যদিও আমরা তাদের সিস্টেমে না। আমরা অনেকটা ওয়েস্ট মিনিস্টার টাইপ ডেমোক্রেসি অনুসরণ করি। সেখানে ওটাকেই বিরোধীদল বলে।'

'এই যে মানুষগুলোকে হত্যা করা হলো, তাকে (পিটার হাস) সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে একটা প্রশ্ন করা হলো না কেন? যখন উপনির্বাচনে একটা ঘটনা ঘটেছিল, সেই হিরো আলমকে কেউ মেরেছিল, তখন তো তারা তার বিচার দাবি করেছিল। এখন যখন পুলিশ হত্যা করল, এতগুলো সাংবাদিককে মারল, এখন পর্যন্ত তারা এর বিচার দাবি করেনি কেন', প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর।

তিনি বলেন, 'যেভাবে পিটিয়ে পিটিয়ে পুলিশকে হত্যা করেছে, ওই খুনিদের সঙ্গে আবার কীসের বৈঠক, খুনিদের সঙ্গে কীসের আলোচনা?' 

'যারা এইভাবে মানুষকে হত্যা করতে পারে, যারা আমাদের সমস্ত উন্নয়নের কর্মকাণ্ড ধ্বংস করতে পারে, তাদের সঙ্গে ডায়ালগ? সে (পিটার হাস) বসে ডিনার খাক, সে বসে ডায়ালগ করুক। এটা আমাদের দেশ। আমরা স্বাধীনতা এনেছি রক্ত দিয়ে। কাজেই আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। এ কথাটা মনে রাখা উচিত', বলেন তিনি। 

শেখ হাসিনা বলেন, 'ওই খুনিদের সঙ্গে ডায়ালগ, এটা বাংলাদেশের মানুষও চাইবে না। বরং বাংলাদেশের মানুষ এখন তাদের ঘৃণা করে। বিএনপি-জামায়াতকে এখন ঘৃণা করে তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য। যেটুকু অর্জন করেছিল তারা, আমরাই সুযোগ দিয়েছিলাম, সেটা তারা হারিয়েছে। এখন মানুষের কাছে তারা ঘৃণার পাত্র, দুর্নীতির পাত্র।' 

 

Comments