অবরোধে সম্ভাব্য নাশকতা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ক পুলিশ

প্রতীকী ছবি। স্টার ফাইল ফটো

সারা দেশে তিন দিনব্যাপী অবরোধে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা চোরাগোপ্তা হামলা ও নাশকতা করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আজ সোমবার পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, তারা ইতোমধ্যেই সারা দেশের সব পুলিশ ইউনিটকে সতর্কতা বাড়াতে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে নির্দেশনা দিয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর এক বিবৃতিতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি এবং সম্ভাব্য সহিংসতার ঘটনা ঘটলে এ বিষয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ জানাতে অনুরোধ করেছে।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সদর দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি রক্ষার জন্য র‌্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন প্রায় ৩০০ পেট্রোল দল মোতায়েন করবে।

এ ছাড়া, কেউ কোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের চেষ্টা করছে কি না, সে বিষয়ে জানতে ইতোমধ্যেই গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে র‌্যাবের বিবৃতিতে।

কর্মকর্তাদের মতে, তাৎক্ষণিক মোতায়েন করার জন্য র‌্যাব ও পুলিশের পর্যাপ্ত সংখ্যক বিশেষ দল এবং স্ট্রাইকিং ফোর্সকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক (অপারেশন) মো. আনোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ইতোমধ্যে হাইওয়ে, রেল ও নৌপুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছি, যাতে কেউ অতর্কিত হামলা চালাতে না পারে।'

তিনি বলেন, 'আমরা যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত এবং জনগণের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।'

মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে হাইওয়ে পুলিশ বিশেষ মনিটরিং টিম গঠন করেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. শাহাবুদ্দিন খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিরাপদ পরিবহন চলাচল নিশ্চিত করতে আমরা ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিটগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করেছি এবং যখন যেখানেই প্রয়োজন হবে তখনই সেখানে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।'

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) গত ২৮ ও ২৯ অক্টোবরের সহিংসতার ঘটনার পর অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। কেউ যেন অবৈধ অস্ত্র নিয়ে চলাচল করতে না পারে সেজন্য রাজধানীর প্রবেশপথ ও প্রধান পয়েন্টগুলোতে ইতোমধ্যেই পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার খ মাহিদ উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করব।'

তিনি বলেন, 'যেকোনো কর্মসূচি দেওয়া একটি রাজনৈতিক দলের অধিকার। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে ওই কর্মসূচিতে যোগ দেবে কী দেবে না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া জনগণের অধিকার। আমরা আশা করি সবাই কর্মসূচির বিষয়ে দায়িত্বশীল মনোভাব দেখাবেন।'

নাশকতার আশঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও সহিংসতা করা হয়েছে—এমনটি আমরা দেখেছি। তাই সম্ভাব্য নাশকতা ঠেকাতে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Yunus meets Chinese ambassador to review China visit, outline next steps

Both sides expressed a shared commitment to transforming discussions into actionable projects across a range of sectors

3h ago