হরতালের নামে সহিংসতা-ভাঙচুর করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
হরতালের নামে সহিংসতা ও ভাঙচুর করলে পুলিশ আইনানুগভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে শনিবার রাত পৌনে ১১টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই সতর্কবার্তা দেন।
'হরতালের নামে কেউ জনগণের জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে আমরা সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে আইনগত ব্যবস্থা নেব', বলেন তিনি।
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশের জন্য আবেদন করেছিল এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আবেদন অনুসারে আমরা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি এবং পুলিশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি।'
'কিন্তু বিএনপির বিপুল সংখ্যক লোক কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নেয় এবং কোনো কারণ ছাড়াই বাস ও অন্যান্য যানবাহনে হামলা করে', যোগ করেন তিনি।
হাবিবুর রহমান বলেন, 'তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করে এবং ফটক ভেঙে ফেলে। একপর্যায়ে তারা লাঠিসোঁটা হাতে বাসভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং ভাঙচুর করে।'
পুলিশের বাধার মুখে তারা বাসভবন ত্যাগ করলেও জজ কমপ্লেক্সে হামলা চালিয়ে কমপ্লেক্সের অভ্যর্থনা কক্ষে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে বলে জানান তিনি।
'তারা জজ কমপ্লেক্স ও পুলিশের শত শত সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে দিয়েছে। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে সক্ষম হয়', বলেন ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, 'উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা একটি আইসিইউ সুবিধা সংবলিত অ্যাম্বুলেন্সসহ ২৬টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। তারা আইডিবি ভবনেও আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে।'
'তারা রমনা ডিসি ট্রাফিক কার্যালয়ে হামলা চালায়, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে, বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ভাঙচুর চালায় এবং পল্টন থানায় হামলার চেষ্টা করে', বলেন ডিএমপি কমিশনার।
তারা এই এলাকার সব পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয় বলেও জানান তিনি।
হাবিবুর রহমান বলেন, 'তারা এক পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা চালায় এবং তাকে হত্যা করে।'
তিনি বলেন, 'তাদের হামলায় শতাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং যাদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।'
'আমরা হামলাকারীদের বিদ্যমান আইনে শাস্তির আওতায় আনতে চাই এবং আমরা এটি করব', বলেন তিনি।
Comments