‘খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে, অতি দ্রুত বিদেশে নিতে হবে’

খালেদা জিয়া
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালে খালেদা জিয়াসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় আমাদের হাতে আর কিছু নেই যা কিছু করার ছিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।

আজ সোমবার খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রেস ব্রিফিং করা হয়। সেখানে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, 'আমরা যা করছি এটা একটা সাময়িক, তাৎক্ষণিক, জীবনরক্ষাকারী সংক্ষিপ্ত ব্যবস্থা। উনার মূল অসুখ হচ্ছে সিরোসিসজনিত পোর্টাল হাইপারটেনশন। যতক্ষণ পর্যন্ত সিরোসিসজনিত পোর্টাল হাইপারটেনশনের সঠিক, সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা করা না হবে, ততোদিন পর্যন্ত উনার অবস্থার অবনতি এবং জটিলতা হতেই থাকবে। সেই চিকিৎসা হচ্ছে ট্রান্সজুগলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোরটোসিসটেমিক সান্ট (টিপস)। এর পরবর্তীতের লিভার ট্রান্সপ্লান্ট।'

লিভারের সংক্রমণের কারণে বারবার পেটে পানি চলে আসছে বেগম জিয়ার। উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হলেও কাজ হচ্ছে না। পেট থেকে পানি হৃদযন্ত্র পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। এ জন্য ইতোমধ্যে তাকে দুইবার সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে, বলেও জানান তিনি।  

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, আমরা যে চিকিৎসা দিচ্ছি তা তাৎক্ষণিক। মূল চিকিৎসা পাচ্ছেন না খালেদা জিয়া। জরুরিভিত্তিতে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানান চিকিৎসকেরা।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানাতে আজ সোমবার প্রেস ব্রিফিং করেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা। ছবি: সংগৃহীত

বেগম জিয়ার শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হওয়ায় এ পর্যন্ত ৪ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। ২৪ ঘণ্টাই তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, আমাদের হাতে আর কিছু নেই, যা কিছু করার ছিল করেছি। উন্নত চিকিৎসাই একমাত্র ভরসা। টিপস পদ্ধতির চিকিৎসা। দুই বছর আগে টিপস পদ্ধতিতে চিকিৎসা হলে বেগম জিয়ার পেটে ও হৃদযন্ত্রে রক্তক্ষরণ হতো না, উনার অবস্থা এত গুরুতর হতো না। টিপস ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট বাংলাদেশে হয় না।

প্রেস ব্রিফিংয়ে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।  প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, হাসপাতালের সিনিয়র কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ভর্তি আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

 

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

5h ago