তদন্তে ব্যক্তি পরিচয় দেখার সুযোগ নেই: দুদক সচিব

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন। ছবি: স্টার

নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা আইন মেনে করা হয়েছে, তদন্তে ব্যক্তি পরিচয় দেখার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

আজ বৃহস্পতিবার অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জিজ্ঞাসাবাদের পর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ন্যায় বিচারের স্বার্থে উনার যে অবস্থান সেটা জানার জন্য এখানে তাকে ডাকা হয়েছে।

ড. ইউনূস একজন নোবেল বিজয়ী ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব, তার এই ব্যক্তি পরিচয় এই মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী কাজ করে এখানে ব্যক্তি পরিচয় দেখার কোনো সুযোগ নেই।

আজ সকালে অর্থ আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিং মামলায় বক্তব্য জানাতে দুদক কার্যালয়ে যান গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম।

এর আগে দুদক সচিব লিখিত বক্তব্যে বলেন, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন একটি অভিযোগ দাখিল করে। অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ অর্থ লোপাট, তাদের পাওনা ৩৬৪ কোটি ১৭ লাখ ৯ হাজার ১৪৬ টাকা পরিশোধকালে অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ  অর্থ কর্তন করা হয়। এছাড়া কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দকৃত সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ এবং কোম্পানি থেকে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের অভিযোগ করা হয়।

তিনি বলেন, এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করার জন্য দুদক একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করে। অনুসন্ধান শেষে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা রুজুর সুপারিশ করে একটি অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করে। এই প্রতিবেদন কমিশনে উপস্থাপিত হলে মামলার অনুমোদন দিলে দুদক মামলা করে। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, দুদক কর্তৃক হয়রানির অভিযোগ সঠিক নয়।

তিনি বলেন, এই মামলায় গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত সাত জনের বক্তব্য রের্কড করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশন করেনি। গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিকরা কালকারখান পরিদর্শন অধিদপ্তরে যে অভিযোগ করেছিল সেই অভিযোগটি দুদকের তফসিলভুক্ত হওয়ায় নিয়ম মেনেই মামলাটি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার জানামতে এই মামলায় আসামিদের মধ্যে একজন জামিনে আছেন। বাকিদের বিষয়ে আমার কাছে হালনাগাদ তথ্য নেই।

যে অভিযোগে মামলা হয়েছে তার কোন সত্যতা পাওয়া গেছে কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত শেষ না হওয়ার আগে কোনোভাবেই জানার সুযোগ নেই এটি কোন পর্যায়ে আছে।

 

Comments

The Daily Star  | English
gold price hike in Bangladesh

Why gold costs more in Bangladesh than in India, Dubai

According to market data, gold now sells for $1,414 per bhori in Bangladesh, compared to $1,189 in India, $1,137 in Dubai

2h ago