খরচ কমাতে রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী ঘর নির্মাণ ও কাজের অনুমতি চায় যুক্তরাষ্ট্র

রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ছবি: ফাইল ফটো

শরণার্থীদের জন্য খরচ কমানো নীতির অংশ হিসেবে রোহিঙ্গাদের জন্য অস্থায়ী বাসস্থান নির্মাণ এবং কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের উপার্জন সংশ্লিষ্ট কাজের অনুমতি দেওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

রোববার ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (মিয়ানমার) মিয়া মো. মইনুল কবিরের সঙ্গে বৈঠকে জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর উপসহকারী সেক্রেটারি জেনিন ওয়াইন এসব কথা জানান।

বৈঠকে অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের কারণে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তার পরিমাণ কমে যাওয়ায় রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি বাংলাদেশ যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি সেসব বিষয়ে তারা আলোচনা করেন।

চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল ৮৭৫ মিলিয়ন ডলারের মাত্র ৩০ শতাংশ বরাদ্দ এসেছে। বছরের শুরুতে জনপ্রতি রোহিঙ্গার জন্য খাদ্য রেশনের পরিমাণ মাসে ১২ ডলার থেকে কমিয়ে প্রতি মাসে ৮ ডলার করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘ প্লাস্টিকের তৈরি অস্থায়ী হাউজিং মডেল তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, 'জেনিন ওয়াইন বলেছেন, এ ধরনের আবাসন খরচ কমাতে কার্যকর হতে পারে। আমরা প্রস্তাবের বিষয়ে একমত, তবে বলেছি প্লাস্টিকের ব্যবহার পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক হবে।'

এ ছাড়া উপার্জন সংশ্লিষ্ট কাজে রোহিঙ্গাদের সম্পৃক্ত করার বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে রাজি হবে না।

জেনিন উইন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য সবচেয়ে বড় দাতা এবং সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'আমরা বলেছি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন চাই, তার কারণ এটাই চূড়ান্ত সমাধান। তবে তিনি বলেছেন প্রত্যাবাসনের বিষয়টি স্থায়ী হওয়া উচিত।'

 

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

3h ago