মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষণার প্রতিক্রিয়া

বিরোধীদলগুলো সহিংস কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবে, প্রত্যাশা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম আশা প্রকাশ করেছেন যে, বিরোধীদলগুলো যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে তারা যেকোনো সহিংস কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবে, কেননা অন্যান্যদের পাশাপাশি বিরোধীদলগুলোর বিরুদ্ধেও ভিসা নীতি কার্যকর করা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

শুক্রবার রাতে নিজ বাসভবনে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি কার্যকরের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

শাহরিয়ার আলম বলেন, 'আমরা দেখেছি যে, অতীতে বিরোধীদলগুলো গুরুতর সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে। এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, বিরোধীদলের নেতারাও মার্কিন ভিসা নীতির আওতায় এসেছেন।'

মার্কিন ভিসা নীতির আওতায় বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা আছেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'সরকারের কেউ যদি মার্কিন ভিসা নীতির আওতায় আসে এবং তা যদি সরকারি কর্তাব্যক্তিদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে তাহলে আমরা মার্কিন সরকারের সঙ্গে কথা বলব।'

তিনি বলেন, 'ঢাকা ওয়াশিংটনকে অনুরোধ করেছে যে, নীতিটি যেন যথেচ্ছভাবে নয়, ন্যায়বিচারের সঙ্গে প্রয়োগ করা হয়। যারা এই নীতি প্রয়োগের মুখোমুখি হচ্ছেন তাদের অবশ্যই ব্যাপকভাবে পরীক্ষা করা উচিত।'

'আমাদের হারানোর কিছু নেই, আমরা এটা নিয়ে চিন্তিতও না', যোগ করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির আওতায় আসা বিরোধীদলগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন, 'পূর্ববর্তী আলোচনা বলে যে, বিএনপি-জামায়াতকে বিরোধীদল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।'

যুক্তরাষ্ট্র আর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আগামী নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের আর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো কারণ নেই এবং সরকার এ বিষয়ে আশ্বাস পেয়েছে।'

তিনি বলেন, 'অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এ ধরনের বিষয়ের প্রভাব রয়েছে। আমরা তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেছি। তারা আশ্বাস দিয়েছে।'

শাহরিয়ার আলম বলেন, 'বাংলাদেশ ইতোমধ্যে র‌্যাবের জবাবদিহিতাসহ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগগুলোর সমাধান করছে। আমরা এ বিষয়টিসহ সহযোগিতার অন্যান্য ক্ষেত্রে (মার্কিন সরকারের সঙ্গে) যোগাযোগ রাখছি।'

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ ইইউ থেকে যেকোনো বিকল্প পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে।'

'আমরা উন্মুক্ত এবং অন্য যেকোনো বিকল্পকে স্বাগত জানাব', বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

Comments

The Daily Star  | English

Admin officers protest plan for more non-admin deputy secretaries

Non-admin officers announce strike tomorrow, demanding exam-based promotions

1h ago