নিরাপত্তা ইস্যুতে ড. ইউনূসের পরিবারের তথ্য সংগ্রহ: পুলিশ

ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: স্টার

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে খোঁজ নিতে চট্টগ্রামে হাটহাজারী উপজেলায় তার পৈত্রিকনিবাসে গিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ।

অধ্যাপক ইউনূসের পৈত্রিকনিবাস হাটহাজারী উপজেলার নজুমিয়া হাট এলাকায়। বর্তমানে তিনি বা তার পরিবারের কেউ ওই এলাকায় থাকেন না।

গত ৩ সেপ্টেম্বর একজন পুলিশ সদস্য ড. ইউনূসের গ্রামের বাড়িতে যান এবং তার ও তার ছেলেসহ পরিবারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাটহাজারী থানা পুলিশ দাবি করেছে, তাদের কেউ ড. ইউনূসের বাড়িতে যাননি।

তবে একই থানার অধীনে মদুনাঘাট তদন্ত কেন্দ্র জানায়, হাটহাজারী থানার পুলিশ এ বিষয়ে বিস্তারিত জানে।

ড. ইউনূসের হাটহাজারীর বাড়িতে পুলিশ যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিশেষ শাখার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিএসপি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ।

দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'এটি একটি রুটিন কাজ। বিশেষ কিছু না। আমরা নিরাপত্তা ইস্যু মাথায় রেখে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছি।'

তিনি আরও বলেন, 'ড. ইউনূস ও তার পরিবার হাটহাজারীতে বসবাস করছেন না, এটা আমরা জানি।'

তাহলে কেন পুলিশ তার সম্পর্কে তথ্য নিতে ওই বাড়িতে গেল, তা জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, 'এটি রুটিন কাজ, বিস্তারিত বলার মতো কিছু নেই।'

পরিদর্শনের বিষয়ে জানতে চাইলে মদুনাঘাট তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিন সুমন বলেন, 'এ বিষয়ে বিস্তারিত জানি না। তবে হাটহাজারী থানার পরিদর্শক ইন্টেলিজেন্স বিস্তারিত জানেন।'

ফোন করা হলে হাটহাজারী মডেল থানার পরিদর্শক (গোয়েন্দা) আমির হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের থানার কেউ তার (ড. ইউনূস) বাসায় যাননি। হয়তো ডিএসবির কেউ সেখানে গিয়েছিলেন।'

ড. ইউনূসের ছোট ভাই মইনুল আনাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গ্রামের বাড়ির একজনের কাছ থেকে আমার মোবাইল নম্বর নিয়ে আমার সঙ্গে ওই পুলিশ সদস্য কথা বলেন। তিনি ভাইয়ের (ড. ইউনূস) পরিবার সম্পর্কে, তার ছেলেদের সম্পর্কে জানতে চান।'

'কেন এসব তথ্য নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে ওই পুলিশ সদস্য বলেন, তাকে উপর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে,' যোগ করেন তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English

IMF reaches agreement on $1.3 billion credit facility for Bangladesh

The global lender reaches agreement on third, fourth reviews of credit facility for the country

49m ago