‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবি বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের
'শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ' বিচারপতিদের অবিলম্বে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম (বিজেএএফ)।
বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠনটির মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ২০১৪ ও ২০১৮-এর মতো করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বৈতরণী পার করার স্বপ্ন দেখছে এই অনির্বাচিত সরকার। গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে কয়েকজন বিচারপতি বক্তব্যের মাধ্যমে শাসক দলের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছেন বলে দেশের সচেতন মহল মনে করছে। এটি বিচার বিভাগ ও জাতির জন্য অশনি সংকেত। সেই সঙ্গে এটি দেশের গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের পরিপন্থী।
তিনি আরও বলেন, অনেকেই বিশ্বাস করেন বিচারপতিরা তাদের শপথ ভঙ্গ করেছেন। এজন্য তারা আইনগত ও নৈতিকভাবে বিচারকাজ পরিচালনার অধিকার হারিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের (এসসিবিএ) সাউথ হলে বিজেএএফ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে কায়সার কামাল বলেন, আলোচনা সভায় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম স্পষ্টতই দেশের চলমান রাজনৈতিক বিষয়ে শাসক দলের নেতাদের মতো রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, ইদানীং সুষ্ঠু নির্বাচন, বিদেশি প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত নিয়ে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে… শুধু ভোট দেওয়াই একমাত্র গণতন্ত্র নয়।
বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিনিধি নির্বাচনে জনগণের অধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তিনি। তিনি (বিচারপতি) বলেছেন, সারা বিশ্বে নির্বাচন হয়, কিন্তু কেউ সেদিকে তাকায় না। বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব মনোযোগ কেন?
বিজেএএফ-এর বক্তব্য নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করার জন্য বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা অন্যায়ভাবে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে সুপ্রিম কোর্টের কিছু বিচারকের বক্তব্যকে বিকৃত করছেন। সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিচারপতিরা বক্তৃতা করেছেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের সব দেশের সংবিধান রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিত্তিতে প্রণীত হয়েছে এবং বিচারকরা সংবিধানের অধীনে শপথ নেন। বিচারকরা তাদের বক্তৃতার মাধ্যমে সংবিধানের চেতনাকে সমুন্নত রেখেছেন।
Comments