ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ রেস্টুরেন্ট মালিকের

ব্রাহ্মণবাড়িয়া
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনেছেন এক রেস্টুরেন্ট মালিক।

তারা হলেন–ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলার সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান, নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান ও কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল হক।

আজ রোববার তাদের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কুমারশীল মোড়ের এএফসি রেস্টুরেন্টের সত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ আরাফাত জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে বলা হয়, গত ৮ জুলাই রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক শাহীনের মোবাইলে অপরিচিত নম্বর থেকে আতিক নামে কেউ কল করে ৫ হাজার টাকা বিকাশে পাঠাতে বলে। টাকা না দিলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৫ গুণ জরিমানা আদায়ের হুমকিও দেওয়া হয় ফোনে।

কিন্তু রেস্টুরেন্ট মালিক টাকা পাঠাননি।

এর ১২ দিন পর ২০ জুলাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে অভিযুক্ত ৩ কর্মকর্তা ২ পুলিশ সদস্যকে নিয়ে ওই রেস্টুরেন্টে যান।

এরপর তারা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৩ ধারার লঙ্ঘন হয়েছে দাবি করে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেন। মালিকপক্ষ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা পরিশোধ করে দেয়।

অভিযোগের বিষয়ে রেস্টুরেন্ট মালিক মোহাম্মদ আরাফাত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই ৩ জন দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘবদ্ধভাবে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছেন। আমার প্রতিষ্ঠানে বেআইনিভাবে তারা জরিমানা করেছেন। এজন্য আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের দ্বারস্থ হয়েছি।'

জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জেলা প্রশাসকের কাছে যে অভিযোগ করা হয়েছে, প্রমাণ পেলে জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা নেবেন। এর বাইরে এ নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।'

নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান বলেন, 'আমার নাম ব্যবহার করে কেউ ওই রেস্টুরেন্টে টাকা চাইতে পারে, তবে আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।'

কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, 'মোবাইল কোর্টের একজন সদস্য হিসেবে সেদিন আমি উপস্থিত ছিলাম। কিছু অনিয়ম পেয়ে এফসি রেস্টুরেন্টে জরিমানা করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগের বিষয়ে আমার জানা নেই।'

যোগাযোগ করা হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, 'আমি এখন পর্যন্ত অভিযোগটি দেখিনি। দেখার পর সত্যতা যাচাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Manu Mia, who dug thousands of graves without pay, passes away

He had been digging graves for 50 years and never accepted any payment for his service

1h ago