আমদানির প্রভাবে কারওয়ান বাজারে আজ কাঁচা মরিচের কেজি ১৫০ টাকা

বিক্রেতারা বলছেন, ভারতের মরিচ বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করায় দেশি মরিচের দাম কমে গেছে।
ছবি: স্টার

ভারতের কাঁচা মরিচ বাজারে আসায় দেশি কাঁচা মরিচের দাম কমতে শুরু করেছে।

আজ সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি দেশি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়।

তবে ভারত থেকে আমদানি করা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, ভারতের মরিচ বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করায় দেশি মরিচের দাম কমে গেছে।

গতকাল কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছিল ৩৫০-৪০০ টাকায়। তার আগের দিন প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হয় ৬০০ টাকায়।

পাইকারি মরিচ বিক্রেতা বকুল দেবনাথ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দেশি মরিচের দাম আরও কমে আসতে পারে। আজ স্থানীয় বাজারে পাইকারি পর্যায়ে মরিচ কেনা হচ্ছে ১১০ টাকায়। অন্যান্য খরচ মিলে দাম পড়বে ১২০-১৩০ টাকা। বাজারে ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হবে।'

মরিচ ব্যবসায়ী সোলায়মান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কাঁচা মরিচ আজ ১৫০ টাকা করে কেজি বিক্রি করছি। ১ হাজার কেজি এনেছিলাম। এখন ২০ কেজির মতো আছে। গতকাল ৫০০ কেজি বিক্রি হয়েছিল। দাম কমায় বিক্রিও বেড়েছে।'

আরেক মরিচ বিক্রেতা মো. বাছেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভারতের মরিচের দাম একটু বেশিই থাকবে। কারণ ভারতের মরিচের চাহিদা একটু বেশি। কারণ এই মরিচের ঝাল একটু বেশি।'

গত কয়েকদিন ধরে মরিচের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। দেশের কোথাও কোথাও এক হাজার টাকা পর্যন্ত মরিচের কেজি বিক্রি হয়েছে।

গতকাল রোববার বাগেরহাটে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। পাবনায় জাতভেদে বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, বগুড়ায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, ফরিদপুরে ৬০০ টাকায়, রাজবাড়ীতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৫০০ টাকায়। ঝিনাইদহের ৫ উপজেলায় কাঁচা বিক্রি হয় ৭০০ টাকায়। তবে শৈলকূপায় বিক্রি হয়েছে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ২৮ হাজার ৪১০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
Pro-Awami League journalist couple arrested

The indiscriminate arrests and murder charges

Reckless and unsubstantiated use of murder charges will only make a farce of the law, not bring justice to those who deserve it.

14h ago