কুড়িয়ে পাওয়া মাংসের হাটে জমজমাট বেচাকেনা
কোরবানি দেওয়া বা বেশি দামে মাংস কেনার অর্থিক সামর্থ্য নেই, আবার লোকলজ্জায় কারও কাছে হাত পেতে মাংস সংগ্রহ করতে পারেন না, তাই বাসায় কাউকে না জানিয়ে সস্তায় মাংস কিনতে রাজধানীর শিয়া মসজিদের সামনে এসেছেন বলে জানান, একজন ক্রেতা।
আজ বৃহস্পতিবার ঈদুল আজহার দিন বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শিয়া মসজিদের সামনে খোলা বাজারে মাংস কিনতে ওই ক্রেতা দ্য ডেইলি স্টারকে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, 'বাসার কাউকে না জানিয়ে কিছুটা সস্তায় মাংস কিনে নিয়ে যাচ্ছি। বাসায় ছেলে-মেয়ে মাংস খাওয়ার আসায় বসে আছে।'
অরেকজন ক্রেতা জানান, এবার ভালো মানের মাংসের দাম আগের বছরের তুলনায় বেশি, সংগ্রহ করা কোরবানির মাংস কিনতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরও মাংস যেহেতু কিনতেই হবে তাই এখান থেকে কিনছি।'
তিনি আরও বলেন, '৩ কেজি মাংস কিনতে চেয়েছিলাম। তবে দাম বেশি হওয়ায় ৮০০ টাকা করে ২ কেজি কিনতে হচ্ছে।'
বাজারেও তো ৮০০ টাকা করে মাংস পাওয়া যায়, একই দামে এখান থেকে কেনো কিনছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আজ তো আর কোথাও মাংস পাওয়া যাবে না। তাই এখান থেকেই কিনতে হচ্ছে।'
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শিয়া মসজিদের সামনে গিয়ে দেখা যায়, বহু মানুষের ভিড় জমে আছে। কেউ প্যাকেট হাতে, কেউ ভ্যানে করে সংগ্রহ করা মাংস বিক্রি করছেন।
কোরবানিদাতারা যেসব মাংস বিলি করেন, নিম্ন আয়ের মানুষ সেই মাংস সংগ্রহ করে। অনেকে আর্থিক প্রয়োজনে, অনেকে আবার সংরক্ষণের জায়গার অভাবে খোলা বাজারে বিক্রি করে দেন। কেউ ১০ কেজি, কেউ ৫ কেজি মাংস সংগ্রহ করেছেন; তারপর সেই মাংস খোলা বাজারে বিক্রি করছিলেন।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একটু নিম্নমানের মাংস যেগুলোকে হাড় ও মাথার মাংস মিশ্রিত থাকে সেগুলো প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, এর চেয়ে কিছুটা ভালো মাংস ৫০০ টাকা এবং একদম ফ্রেশ মাংস ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জামাল হোসেন নামে একজন বিক্রেতা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে ভালো মানের মাংস ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা করে কিনতে হয়েছে। সারাদিন খেটে যদি কেজিতে ১০০ টাকা লাভ না থাকে, তাহলে কীভাবে চলবেন বলেও প্রশ্ন তোলেন জামাল।
Comments