‘সামাজিক ন্যায়বিচার ছাড়া স্থায়ী শান্তি বা টেকসই উন্নয়ন হতে পারে না’

সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস থেকে নেওয়া

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আন্তর্জাতিক উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা ভবিষ্যতে বিশ্বের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে।

তিনি বলেন, 'আন্তর্জাতিক মানুষ, সম্প্রদায় ও সংস্থার কাছ থেকে আমরা এটাই আশা করি।'

বুধবার সুইস শহর জেনেভায় অনুষ্ঠিত ২ দিনব্যাপী 'ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল'র পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন থেকে বের হওয়ার পরপরই এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

সামাজিক ন্যায়বিচারের সমর্থনে বর্ধিত, সমন্বিত ও সুসংহত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী কণ্ঠস্বরগুলোর একটি উচ্চ-স্তরের ফোরামের এই শীর্ষ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি যা অনুভব করি তা হলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সামাজিক ন্যায়বিচার এসডিজির মতো আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এজেন্ডায় কেন্দ্রে রাখা দরকার।'

এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশে ব্যাপক সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কর্মসূচি রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, 'শ্রমিক, কৃষক, বয়স্ক মানুষ বা বৃদ্ধ মানুষ, ছাত্র-ছাত্রী এমনকি কর্মজীবী মা বা স্তন্যদানকারী মা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম রয়েছে।'

সরকার (বাংলাদেশে) তাদের ভাতা দিচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা আমাদের সর্বোত্তম উপায়ে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করেছি। তবে, আমি মনে করি এটি ব্যাপকভাবে হওয়া উচিত। আইএলও এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে পারে এবং কেউ যাতে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে।'

তিনি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচার ছাড়া স্থায়ী শান্তি বা টেকসই উন্নয়ন হতে পারে না।

শেখ হাসিনা আরেকটি বিষয় উল্লেখ করেছেন যে, বিশ্ব পরিবর্তন হচ্ছে, নতুন প্রযুক্তি আসছে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ঘটছে। 'আমরা চাই যে কেউ তাদের চাকরি হারাবে না।'

এ বিষয়ে তিনি বলেন, চাকরির সুযোগ সৃষ্টির জন্য শিক্ষা প্রয়োজন। 'প্রত্যেককে অবশ্যই তাদের ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে শিক্ষিত হতে হবে এবং এটি কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা শিখতে হবে।'

এই উদ্দেশ্যে তিনি নতুন প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ প্রদানের অগ্রাধিকারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন 'যাতে জনগণ দক্ষ হয়ে ওঠে এবং আমরা আমাদের দেশে এটিই করছি।'

তিনি বলেন, 'আমরা স্কুল পর্যায় থেকে ডিজিটাল ল্যাবরেটরি ও কম্পিউটার ল্যাবরেটরি, তারপর প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার করেছি। তরুণ প্রজন্ম তাদের প্রশিক্ষণ পায় এবং আমরা আমাদের জনগণকে প্রস্তুত করছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Taskforce report: 8 mega projects cost $7.5b more for graft, delay

The costs of eight mega projects soared by a staggering 68 percent, or $7.52 billion from the initial estimation, mainly due to poor and faulty feasibility studies, corruption, and delays in launch, according to the report of a government-formed task force.

10h ago