বাংলাদেশ

কিছু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার লোভে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়: বাণিজ্যমন্ত্রী

রোববার জাতীয় চা দিবসে ৮টি ক্যাটাগরিতে ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩’ দেওয়া হবে।
জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে শ্রীমঙ্গলে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে কথা বলছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ছবি: সংগৃহীত

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, 'আমাদের দেশে কিছু কিছু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার লোভে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়। আমরা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর দিয়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছি।'

আজ শনিবার বিকেলে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জাতীয় চা দিবসকে সামনে রেখে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, 'এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়েছে। তার ওপর কিছু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার অর্জনের চেষ্টা করছে।'

মন্ত্রী টিপু মুনশি আরও বলেন, 'এটা এমন নয় যে শুধু আমাদের দেশে বেড়েছে। এখন সারাবিশ্বেই জিনিসপত্রের দাম বাড়তি। বৈশ্বিক বাজারে দাম বাড়ার কারণে এমন হয়েছে। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতির পর ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণেও হয়েছে।'

'দাম বাড়লেও আমরা প্রায় ১ কোটি মানুষকে সুলভ মূল্যে জিনিসপত্র দিচ্ছি। এই ১ কোটি মানুষ তাদের পরিবারসহ মোট ৫ কোটি মানুষ সেই সুবিধা পাচ্ছেন,' যোগ করেন তিনি।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মুহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

'দেশে দিনদিন চায়ের চাহিদা বাড়ছে' উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, 'চা উৎপাদনের শুরুতে মানুষকে ফ্রিতে চা খাওয়ানো হতো। মানুষকে চা পানে উৎসাহিত করতে চায়ের সঙ্গে বিড়ি দেওয়া হতো। কিন্তু এখন চায়ের চাহিদা সব জায়গায়। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সবাই এখন চা খাচ্ছে। মানুষ ঘুম থেকে উঠে নাস্তার সঙ্গে চা খাচ্ছে। আমরা উৎপাদন বৃদ্ধি করেছি। যদি চায়ের চাহিদা আরও বেড়ে যায় তাহলে আমরা প্রয়োজনে চা আমদানি করব।'

আগামীকাল রোববার সকালে শ্রীমঙ্গলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তৃতীয় জাতীয় চা দিবস। অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। 

দিবসটি উপলক্ষে ৮টি ক্যাটাগরিতে ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রথমবারের মতো 'জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩' দেওয়া হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী ৮ ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। ক্যাটাগরিগুলো হলো-একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান-ভাড়াউড়া চা বাগান, সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান-মধুপুর চা বাগান, শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক-আবুল খায়ের কনজ্যুমার প্রোডাক্টস, শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী-মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট (পঞ্চগড়), শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান-জেরিন চা বাগান, বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ কোম্পানি-কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট, দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা কোম্পানি-গ্রিন ফিল্ড টি ইন্ডাস্ট্রিজ, শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী (চা শ্রমিক)-উপলক্ষী ত্রিপুরা, নেপচুন চা বাগান।

Comments