জাদুকাটায় মাছ শিকারের উৎসব

বছরের এই সময়টিতে নদীতে পানি কম থাকায় মাছ শিকারে নামেন ছেলে-বুড়ো, শিশু, কিশোরসহ সব বয়সী মানুষ।‌
জাদুকাটায় মাছ শিকারের উৎসব
প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ ১৫ দিন জাদুকাটায় মাছ শিকারের উৎসব করেন সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সিরাজপুর গ্রামের মানুষ। ছবি: আহমাদ ইশতিয়াক/স্টার

প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ পনেরো দিন উৎসবের আনন্দে জাদুকাটা নদীতে মাছ শিকার করেন সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সিরাজপুর গ্রামের মানুষ। 

বছরের এই সময়টিতে নদীতে পানি কম থাকায় মাছ শিকারে নামেন ছেলে-বুড়ো, শিশু, কিশোরসহ সব বয়সী মানুষ।‌ ছুটির দিন থাকায় অন্যান্য দিনের চেয়েও অনেক বেশি মানুষের সমাগম ছিল আজ শুক্রবার। 

কেবল সিরাজপুরই নয়, সকাল থেকে সিরাজপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকেও  মানুষ ঠেলা জাল, মশারি, ঝাঁপি জাল দিয়ে নদীতে মাছ ধরতে এসেছেন। 

জাদুকাটায় মাছ শিকারের উৎসব
প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ ১৫ দিন জাদুকাটায় মাছ শিকারের উৎসব করেন সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সিরাজপুর গ্রামের মানুষ। ছবি: আহমাদ ইশতিয়াক/স্টার

স্থানীয় বাসিন্দা মন্টু মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখন নদীর পানি কম। যে কারণে সবাই মাছ ধরতে পারছে। মাছও বেশ পাওয়া যাচ্ছে। আর কিছুদিন পরেই বৃষ্টির পানি নামবে। তখন আর এখনকার মতো মাছ পাওয়া যাবে না। তবে মাছ যে যেমনই ধরতে পারুক না কেন, মাছ পাওয়ার চেয়েও উৎসবের সঙ্গে সবাই মিলেমিশে মাছ ধরাটাই আমাদের কাছে মুখ্য।'  

জাদুকাটা, মাছ শিকার, উৎসব
প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ ১৫ দিন জাদুকাটায় মাছ শিকারের উৎসব করেন সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সিরাজপুর গ্রামের মানুষ। ছবি: আহমাদ ইশতিয়াক/স্টার

সিরাজপুরের পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা শাকিল জানান, 'মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ পনেরো দিন পুরো গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়।' 

হাবিবুর রহমান গতকাল রাতে ঢাকা থেকে গ্রামে এসেছেন। প্রতি বছরই এমন সময় তিনি বাড়িতে আসেন। হাবিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি, এই সময়ে নদীতে গ্রামবাসীরা সবাই মিলে মাছ ধরে। বছরের অন্য সময় আমরা এবং আমাদের আত্মীয়-স্বজনেরা শহরে থাকলেও এই সময়ে শিকড়ের টানে গ্রামে ফিরে আসেন। কিছু মুহূর্তের জন্য হলেও ছোটবেলায় ফিরে যেতে পারি।'

 

 

Comments

The Daily Star  | English

$800m repayment to Russia in limbo

About $809 million has piled up in a Bangladesh Bank escrow account to repay loans and interest for the Russia-funded Rooppur Nuclear Power Plant.

9h ago