বকেয়া বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের বহদ্দারহাট মোড় অবরোধ
বকেয়া বেতনের দাবিতে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
আজ সোমবার দুপুর দেড়টায় নগরীর বাকলিয়া নতুন ব্রিজ এলাকার 'ডায়নামিক ফাইভ নিট ওয়ার লিমিটেডের' প্রায় ২ শতাধিক পোশাক শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মিছিল নিয়ে বহদ্দারহাট মোড়ে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনের সামনের এসে সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে।
বহদ্দারহাট মোড়ে শ্রমিকদের অবরোধের কারণে নগরের চাঁন্দগাও, মুরাদপুর, কাতালগঞ্জ ও বাকলিয়া এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, তাদের ৩ মাসের বেতন বাকি। ঈদুল ফিতরের আগে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেতন দিতে পারেনি। তখন বিজিএমইএর নেতা ও সিটি মেয়রের মধ্যস্থতায় চলতি মাসে বেতন পরিশোধের অঙ্গীকার করেছিল মালিকপক্ষ। কিন্তু এখনো শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা হয়নি।
সড়কে অবস্থান নেওয়া শাবানা নামে এক শ্রমিক ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মেয়র মহোদয়ের আশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা ঈদের আগে আন্দোলনে যাইনি। কারখানা মালিক বকেয়া পরিশোধের জন্য ২ বার সময় দিয়েও তা পরিশোধ করেননি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি।'
সড়কে আন্দোলনরত আরেক শ্রমিক জান্নাত বেগম বলেন, 'কারখানা মালিক বকেয়া পরিশোধের তারিখ দিয়ে পালিয়েছেন। আজকে বকেয়া পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু সকাল থেকে কারখানায় মালিক পক্ষের কেউ আসেনি। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছি।'
বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ডায়নামিক ফাইভ নিট ওয়ার লিমিটেড আমাদের সংগঠনের সদস্য না। তারপরও শ্রমিকদের স্বার্থ বিবেচনা করে আমরা মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে ঈদের আগে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য বলেছিলাম। তখন কিছু টাকা পরিশোধ করেছিল। পরে আবারো বকেয়া বেড়েছে। সম্প্রতি সিটি মেয়রের হস্তক্ষেপে আজকে বকেয়া পরিশোধের দিন ছিল। কিন্তু মালিকপক্ষকে এখন পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের ফোন বন্ধ পাচ্ছি।'
শিল্প পুলিশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সোলায়মান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নতুন ব্রিজ এলাকার ডায়নামিক ফাইভ নিট ওয়ার লিমিটেড পরিচালনা করেন মেজবাহ উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী। ওই কারখানা শ্রমিকদের প্রায় ৩ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদেরকে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।'
Comments