শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ, রাবার বুলেট নিক্ষেপ পুলিশের

পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল মিল কারখানায় বকেয়া বেতনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। 

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।

রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের সাটিয়াবাড়ীতে কারখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

গাজীপুর শিল্প পুলিশ শ্রীপুর জোনের ইনচার্জ ইনস্পেক্টর হুমায়ুন কবির দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শ্রমিকরা জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল এই ৩ মাসের বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকরা গতকাল শনিবার দিনব্যাপী  শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে। বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার (ভূমি), শিল্প ও শ্রীপুর থানা পুলিশ কারখানায় যান। তারা শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের বিষয়ে আশ্বস্ত করে।

শ্রমিকরা কারখানা মালিকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে, রোববার মালিক কারখানায় গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে বসবেন বলে কর্মকর্তারা জানান।

আজ রোববার সকালে শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেয়। তখন থেকেই কারখানার সামনে পুলিশের সাঁজোয়া যানসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। 

পরে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পুলিশ প্রহরায় মালিক কারখানায় প্রবেশ করে। সাড়ে ৪টায় শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ৩০ জন প্রতিনিধি, শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), শিল্প ও থানা পুলিশ আলোচনায় বসে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল-মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে আমরা কারখানার ৪ তলায় লাউঞ্জে আলোচনা করছিলাম। শেষ পর্যায়ে এসে শ্রমিকরা ২০২২ সালের কিছু বকেয়া পরিশোধের দাবি তোলে। তখন মালিক চলতি বছরের বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস দেয়। ওই বকেয়া পরিশোধের পরে গত বছরের দাবিকৃত বকেয়া পরিশোধ করা হবে বলে জানায়।'

এ খবর অন্যান্য শ্রমিকদের কাছে গেলে তারা আবার বিক্ষোভ শুরু করে এবং তখন আলোচনা বন্ধ হয়ে যায় বলে জানান তিনি।

বিকেলে কারখানার ভেতরে শ্রমিকরা হঠাৎ বিক্ষোভ শুরু করে উল্লেখ করে গাজীপুর শিল্প পুলিশের ইনস্পেক্টর হুমায়ুন কবির ডেইলি স্টারকে জানান, 'শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে। তখন শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা কারখানার বাইরে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে এবং আগুন লাগিয়ে দেয়।'

তখন পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে জানান তিনি।

এ ঘটনায় শ্রমিক ও পুলিশের কেউ আহত হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

রোববার রাত ৯টা পর্যন্ত ওই কারখানার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus opens second round of talks to strengthen national unity

'Beautiful July Charter' would be unveiled following discussions, he says

3h ago