‘পাকিস্তান’ শব্দ যুক্ত আইনের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

'পাকিস্তান', 'ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান' ও 'ইস্ট পাকিস্তান' শব্দ যুক্ত আছে এমন প্রচলিত আইনের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্ট এ ধরনের আইনের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন এবং ৯০ দিনের মধ্যে তালিকা জমা দিতে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এছাড়া দেশের প্রচলিত আইন থেকে 'পাকিস্তান', 'ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান' এবং 'ইস্ট পাকিস্তান' শব্দ বাদ দিয়ে সংশোধন করতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করেছেন আদালত।

আজ সোমবার এ সংক্রান্ত একটি রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মুহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. রবিউল আলম সৈকত চলতি বছরের মার্চে এ রিট আবেদন করেছিলেন।

রিটে তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনের পর প্রচলিত (পাকিস্তান আমলের) আইনগুলো অ্যাডাপ্ট করা হয়। তখন ১৯৭৩ সালের বাংলাদেশ লজ (রিভিশন ও ডিক্লারেশন) অ্যাক্টে পাকিস্তান, ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান এবং ইস্ট পাকিস্তান শব্দগুলো বাদ দিতে বলা হয়। এরপর কিছু আইনে বাদ দেওয়া হয়। 

তবে এখনো অনেক আইনে শব্দগুলো রয়ে গেছে। যেমন-দ্য ক্যাটল (প্রিভেনশন অব ট্রেসপাস) অর্ডিন্যান্স ১৯৫৯, দ্য ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৬১, দ্য এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৬১, দ্য এগ্রিকালচারাল পেস্টস অর্ডিন্যান্স ১৯৬২, দ্যা ইনডিসেন্ট অ্যাডভার্টাইজমেন্টস প্রহিভিশন অ্যাক্ট ১৯৬২, দ্য সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট ১৯৬৩, দ্য পাইলটেজ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এবং দ্য গভর্নমেন্ট লোকাল অথরিটি ল্যান্ডস অ্যান্ড বিল্ডিংস (রিকভারি অব পজেশন) অর্ডিন্যান্স ১৯৭০ উল্লেখযোগ্য।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

7h ago