ব্রাহ্মণবাড়িয়া

গরমে রেললাইন বেঁকে চট্টগ্রাম-সিলেট থেকে ঢাকাগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ট্রেন চলাচল, লাইনচ্যুত,
উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি দাড়িয়াপুর এলাকা অতিক্রম করার পরপরই লাইনটি বেঁকে যায়। পানি ও কচুরিপানা দিয়ে উত্তপ্ত রেললাইন ঠান্ডা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ছবিটি আজ দুপুর ১টার দিকে তোলা। ছবি: মাসুক হৃদয়/স্টার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত বৃহস্পতিবার মালবাহী ট্রেনের লাইনচ্যুত হওয়া ৭টি বগি উদ্ধারের একদিন না পেরোতেই অতিরিক্ত গরমে লাইন বেকে চট্টগ্রাম-সিলেটের সঙ্গে ঢাকাগামী (আপ লাইনে) ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।

আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতি শেষে দাড়িয়াপুর এলাকা অতিক্রম করার পরপরই লাইনটি বেঁকে যায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ২ দিন আগে মালবাহী ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে প্রায় ৫০০ মিটার রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর রেলওয়ের মেরামতকারী দল প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর লাইনচ্যুত হওয়া বগিগুলো উদ্ধার করলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে, স্বাভাবিক হওয়ার ১৬ ঘণ্টা পর ফের একইস্থানে অত্যধিক গরমে রেললাইন বেঁকে যায়। এতে ঢাকা অভিমুখী (আপলাইন) ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। তবে ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।

স্টেশন মাস্টার আরও জানান, ডাউন লাইনের অবস্থাও ভালো নয়। গরমে ডাউন লাইনটিও বেঁকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই লাইনে ৩০ কিলোমিটার গতিসীমায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রেখেছি।

বেঁকে যাওয়া লাইনটি সচল করার বিষয়ে তিনি বলেন, 'রেল লাইন ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত মেরামত কাজ করা যাবে না।'

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে একটার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী মালবাহী একটি ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়। অত্যধিক গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার কারণেই এই লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। এরপর রেলওয়ে বিভাগ ৩০ ঘণ্টা তৎপরতা চালিয়ে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আপলাইন ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka cannot engage with non-state actors: foreign adviser

Md Touhid Hossain also emphasised that peace and stability in the region would remain elusive without a resolution to the Rohingya crisis

29m ago