জিডিপিতে নারীর গৃহস্থালি কাজ যোগের নির্দেশ, প্রধানমন্ত্রীকে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের অভিনন্দন
বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) নারীর অস্বীকৃত ও অমূল্যায়িত গৃহস্থালি ও সেবামূলক কাজ যোগ করার নির্দেশ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।
সংস্থাটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নারীর গৃহস্থালি ও সেবামূলক কাজের মূল্যায়ন করে, তা জাতীয় জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা ও জাতীয় আয় পরিমাপের পদ্ধতি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের দীর্ঘ দিনের দাবি৷ নারীর অবমূল্যায়িত কাজের স্বীকৃতির দাবি ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের দীর্ঘদিনের অ্যাডভোকেসির ও প্রচারাভিযান 'মর্যাদায় গড়ি সমতা'র মূল সারাংশের প্রতিফলন প্রধানমন্ত্রীর একনেকের সভায় প্রতিফলিত হওয়ায় আমরা আনন্দিত ও অভিনন্দন জানাই৷ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন মনে করে, এটা এক ধাপ অগ্রগতি বাংলাদেশের জন্য৷
এতে আরও বলা হয়, একনেক সভায় প্রস্তাবিত এই নির্দেশ বাংলাদেশের জন্য এক মাইলফলক ভূমিকা পালন করবে নারীর ক্ষমতায়ন ও অগ্রযাত্রায়৷
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, নারীর অর্থনৈতিক কাজে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা গৃহস্থালি কাজ। কোনো অর্থনৈতিক লেনদেন বা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশা না রেখেই নারীরা গৃহস্থালি কাজ করেন৷ তাদের এই কাজ উৎপাদনের জাতীয় হিসাব অথবা জাতীয় আয় পরিমাপের পদ্ধতির (এসএনএ) বাইরে থাকে৷ যদিও জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
দেশের নীতি-কাঠামোতে দুর্বলতা চিহ্নিত করা, মানুষের চিন্তা-আচরণে পরিবর্তন আনা, স্বীকৃতির পাশাপাশি পুনর্বন্টন, কাজের চাপ কমানোর জন্য ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত ও অ্যাডভোকেসির জন্য ২০১২ সাল থেকে কাজ করছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে নিজেদের একটি সফলতা হিসেবে দেখছে সংস্থাটি। তাদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা জেন্ডার বৈষম্য কমিয়ে আনতে ভূমিকা পালন করবে৷
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন প্রস্তাব করে আসছে, নারীর গৃহস্থালির হিসাব স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট ব্যবস্থায় করা সম্ভব। এটি এমন একটি হিসাব পদ্ধতি, যা দিয়ে ঘরের অ-অর্থনৈতিক সেবামূলক বা গৃহস্থালি কাজ মাপা হয়৷ বিশ্বের অনেক দেশের অর্থনীতিবিদরা সাধারণত স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে নারীর অমূল্যায়িত কাজকে চিহ্নিত করেন৷
Comments