রোয়াংছড়িতে ২ গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ৮: পুলিশ

স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

বান্দরবানের রোয়াংছড়ির খামথামপাড়ায় ২ গ্রুপের সংঘর্ষে ৮ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল রাত ৮টার দিকে খামতামপাড়ায় ২ গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।'

'নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে, কোন কোন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে তা এখনো জানতে পারিনি,' বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

ঘটনাস্থল খামতাম পাড়ার সাবেক পাড়া প্রধান (কারবারি) পুতুলি খিয়াং দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল রাতে খাবার শেষে ঘুমাতে যাচ্ছিলাম। এমন সময় পাড়ার পাশের বনের ভেতর থেকে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পেয়ে যে যেদিকে পারি পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছি। সারারাত জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় পালিয়ে এসেছি।'  

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের গ্রামটি রুমা ও রোয়াংছড়ির ২ উপজেলার ৩টি গ্রাম খামতাম প্রাংসা পাড়া, পাইক্ষ্যং খামতাম পাড়া, খমং ক্ষ্যং পাড়া  মিলে ৯০টি পরিবার নিয়ে খেয়াং জনগোষ্ঠীর পাড়া। আমরা ৭০ জনের বেশি রুমায় আশ্রয় নিয়েছি। আর বাকিরা রোয়াংছড়ি বাজারে আশ্রয়ের জন্য পালিয়ে গেছেন বলে শুনেছি।'

বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, 'গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে স্থানীয়দের বরাতে খবর পাই, খামতাম পাড়া এলকায় পাহাড়ি দুটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলি চলছে। এলাকাটি দুর্গম ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ। তাই রাতে আমাদের পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি।  আজ  সকালে রোয়াংছড়ি থানার ওসি আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৮ জন গুলিবিদ্ধ পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠনের মরদেহ উদ্ধার করে বান্দরবান মর্গে আনা হয়েছে। তদন্তের আগে তাৎক্ষণিকভাবে কোন কোন সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে বলতে পারব না।'

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে দ্য ডেইলি স্টারকে এসপি তরিকুল ইসলাম বলেন, 'নিহত ব্যক্তিদের  পরিবারের খোঁজ পাওয়ার পর পরিবারের পক্ষে যদি মামলা না করে তাহলে সরকারের পক্ষ হয়ে আমরা মামলা করব।'

কুকি-চিনের নেতা নাথান বমের নামে কোনো মামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে এসপি বলেন, 'এ পর্যন্ত নাথাম বমের নামে বহু মামলা হয়েছে। সেনাবাহিনীর একজন ওয়ারেন্ট অফিসার শহীদ হওয়ার সময়ের তার নামে মামলা হয়েছে। এবারও হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

3h ago