বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু, চাপ তুলনামূলক কম
সেহরি শেষ করেই টিকিট সংগ্রহের জন্য কাউন্টারে এসেছিলেন সুমাইয়া। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের জন্য তিনি রংপুরে যাবেন। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে অবশেষ পেয়ে যান কাঙ্ক্ষিত টিকিটি। সে সময় তার চোখে-মুখে ভেসে ওঠে সুখের ঝিলিক।
শুধু সুমাইয়াই নন, আরও অনেকেই পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে যাবেন—এই আশায় আজ শুক্রবার ভোর থেকেই রাজধানীর গাবতলীতে ও মিরপুর রোডে শ্যামলীতে বাস কাউন্টারে এসে টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ান।
তাদের কেউ কেউ পছন্দের তারিখের টিকিট পেয়েছেন, কেউ কেউ আবার বাধ্য হয়ে অন্য তারিখের টিকিট কেটেছেন।
আজ সকাল ৮টার দিকে গাবতলী বাস কাউন্টারে সুমাইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'একটু কষ্ট হলেও পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারবো তাতেই খুশি। অন্যান্য বছরগুলোর চেয়ে এবার তুলনামূলক ভিড় কম।'
ভোরেই নওগাঁর টিকিট সংগ্রহ করতে এসেছিলেন মনির হোসেন। হানিফ পরিবহনের বাসে নওগাঁ যেতে তাকে অন্যান্য সময় ভাড়া দিতে হয় ৭০০ টাকা। আজকে তাকে বাসের শেষ গন্তব্য পর্যন্ত টিকিটি কাটতে হয়েছে। এর জন্য দিতে হয়েছে ৮৪০ টাকা।
মনির হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, '১৪০ টাকা বেশি দিতে হয়েছে। তবে পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটাতে পারবো এটাই আনন্দের।'
কুড়িগ্রামের বেলাল হোসেন ভোর ৫টায় টিকিটের জন্য শ্যামলী কাউন্টারে এসেছিলেন। তার প্রয়োজন ছিল ২১ এপ্রিলের টিকিট। তবে সেদিনের টিকিট মেলেনি।
বেলাল হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, '২১ এপ্রিল যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। টিকিটি শেষ হয়ে যাওয়ায় ২০ তারিখের টিকিটি কাটতে হয়েছে।'
গাবতলীতে হানিফ কাউন্টারে টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা ইসমাইল খান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকাল ৬টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। অন্যবারের তুলনায় এবার কাউন্টারগুলোয় ভিড় কিছুটা কম।'
'আমরা এবার অনলাইনে টিকিট বিক্রি করছি' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'তাছাড়া, এবার আমাদের অন্য কাউন্টারগুলোতেও অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। সে জন্যও চাপ কম হতে পারে।'
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে আজ ৭ এপ্রিল থেকে বেসরকারি বাস অপারেটরগুলো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। আজ ১৬ এপ্রিল ও এর পরের তারিখের টিকিট বিক্রি হচ্ছে।
ট্রেনের আগাম টিকিটও আজ থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে।
Comments