নিউইয়র্কে গ্রামীণ আমেরিকার তৃতীয় বার্ষিক অংশীজন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

নিউইয়র্কে গ্রামীণ আমেরিকার তৃতীয় বার্ষিক অংশীজন সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী কয়েকজনের সঙ্গে ড. ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

গ্রামীণ আমেরিকার তৃতীয় বার্ষিক অংশীজন সম্মেলন হলো নিউইয়র্কে। গত ২২ মার্চ ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও গ্রামীণ আমেরিকার কো-চেয়ার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গ্রামীণ আমেরিকার ৮০ জনেরও বেশি কমিউনিটি পার্টনার, বিনিয়োগকারী ও সমর্থক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নেন।

বাংলাদেশের দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত গ্রামীণ নারীদের ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে উদ্যোক্তায় পরিণত করতে ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। তার এই ক্ষুদ্রঋণ মডেল পরবর্তীতে বিশ্বের শতাধিক দেশে দারিদ্র্য বিমোচনের কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে গৃহীত হয়। ২০০৮ সালে ড. ইউনূস তার এই মডেল যুক্তরাষ্ট্রে প্রয়োগ করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে দরিদ্র বিশেষত কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের ক্ষুদ্রঋণ ও অন্যান্য সেবার মাধ্যম উদ্যোক্তায় পরিণত করতে গ্রামীণ আমেরিকা কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি জন্মলগ্ন থেকে দেশটির ২৫টি শহরে ১ লাখ ৬৭ হাজার দরিদ্র নারীকে ব্যবসার জন্য ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি পুঁজি সরবরাহ করে সফল উদ্যোক্তায় পরিণত করেছে।

অংশীজন সম্মেলনে ক্ষুদ্রঋণের ভবিষ্যৎ এবং দরিদ্র নারী উদ্যোক্তাদের জন্য প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন নিয়ে ড. ইউনূস ও গ্রামীণ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রিয়া ইয়াংয়ের মধ্যে সংলাপ হয়। পরে গ্রামীণ আমেরিকার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্যানেল আলোচনা হয়।

ড. ইউনূস বলেন, 'গ্রামীণ আমেরিকার এ পর্যন্ত অগ্রগতি এক কথায় অবিশ্বাস্য। এখন থেকে ১৫ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি চালু করা অসম্ভব কাজ বলে মনে হয়েছিল। এই অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য গ্রামীণ আমেরিকাকে ধন্যবাদ। এই অসাধারণ অর্জনগুলোর মধ্য দিয়ে নারীদের পক্ষে তাদের জীবন, সমাজ ও দেশকে রূপান্তরিত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।'

গ্রামীণ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী অ্যান্ড্রিয়া ইয়াং বলেন, 'গ্রামীণ আমেরিকার লক্ষ্য হলো একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ সৃষ্টি যেখানে লিঙ্গ, বর্ণ ও আয় নির্বিশেষে সকল মানুষের ন্যায্য ও সামর্থ্য অনুযায়ী পুঁজিতে প্রবেশাধিকার থাকবে এবং এটি প্রকৃত অর্থেই একটি দলগত কাজ।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

14h ago