‘সমালোচনামূলক কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। ফাইল ছবি: রয়টার্স
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক। ফাইল ছবি: রয়টার্স

বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তার্ক। অবিলম্বে এই আইনের প্রয়োগ বন্ধে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, 'আমি উদ্বিগ্ন যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সারা বাংলাদেশে সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানি ও ভয় দেখাতে এবং অনলাইনে সমালোচনামূলক কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।'

তুর্ক বলেন, 'আমি কর্তৃপক্ষকে আবারও এর (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) ব্যবহারে অবিলম্বে স্থগিতাদেশ আরোপ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের নীতিমালার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করতে এই আইনের বিধানগুলোকে ব্যাপকভাবে সংস্কারের আহ্বান জানাচ্ছি।'

এই আইনের আওতায় প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সম্পাদক মতিউর রহমান ও একজন ফটোগ্রাফারের বিরুদ্ধে মামলাসহ ২ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অসংজ্ঞায়িত বিধান সম্পর্কে বারবার উদ্বেগ জানিয়ে আসছে।

'সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এই আইনের স্বেচ্ছাচারী বা অতিরিক্ত প্রয়োগ হবে না কিন্তু গ্রেপ্তার অব্যাহত থাকায় এই প্রতিশ্রুতি যথেষ্ট বলে মনে হচ্ছে না। আইনটির যথাযথ সংশোধন প্রয়োজন।'

অভিযুক্তদের মুক্তি দিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে দায়ের করা যেসব মামলা বিচারাধীন রয়েছে সেগুলো পর্যালোচনার জন্য একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় প্যানেল গঠনের আহ্বান জানান জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তার্ক।

Comments

The Daily Star  | English

Thousands of crores of taka of citizens wasted on unnecessary projects: commerce adviser

The adviser, however, added that liabilities of foreign-funded projects should still be repaid

56m ago