দরজা খুলল শেওড়াপাড়া, উত্তরা দক্ষিণ স্টেশনের
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অমিত থাকেন শেওড়াপাড়ায়। তার ক্যাম্পাস আশুলিয়ায়। বাসার সামনে মেট্রো স্টেশনে তাকে ভীষণ উচ্ছ্বসিত দেখা যায়।
আজ শুক্রবার সকালে মেট্রোর শেওড়াপাড়া ও উত্তরা দক্ষিণ স্টেশন খোলার আগে অমিত কথা বলেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।
তিনি বলেন, 'ভীষণ আনন্দিত। মেট্রোতে চলাচল করতে পারলে অনেক সময় বাঁচবে।'
শেওড়াপাড়ার অপর বাসিন্দা রবিউল ইসলাম কাজ করেন পল্লবীতে। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শেওড়াপাড়া থেকে পল্লবীর দূরত্ব খুব বেশি নয়। তবুও যানজটের কারণে এটুকু রাস্তা পার হতে ঘণ্টা খানেক লেগে যেত। এখন তা লাগবে না। বাসা থেকে কয়েক মিনিটের মধ্যেই অফিসে পৌঁছে যেতে পারবো।'
'তবে বিকেলে অফিস থেকে ফেরার ট্রেন না পাওয়ায় সমস্যা পুরোপুরি কাটছে না' বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শেওড়াপাড়ায় বাবার সঙ্গে এসেছিল তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী রিক। সে ডেইলি স্টারকে বলে, 'আগে আগারগাঁও স্টেশন থেকে মেট্রোয় উঠেছিলাম। আজ আমাদের বাসার সামনে শেওড়াপাড়া স্টেশন থেকে উঠেছি।'
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছেলে রাহাতকে নিয়ে এসেছিলেন প্রবাসী বাবা ইউসুফ হাসান। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দেশের এই মেট্রোরেল বেশ ভালো লেগেছে। এখানে আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছি।'
নানি ফিরোজা বেগমের মেট্রোরেলে চড়ার ইচ্ছা পূরণ করতে তাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিল ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাবিদ আলম। শেওড়াপাড়া স্টেশনে তাদেরকে সহযোগিতা করেন আনসার সদস্য মাইনুল।
সাবিদ ডেইলি স্টারকে বলে, 'আমরা শেওড়াপাড়া থেকে মিরপুর-১০ পর্যন্ত গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আবার ফিরে এসেছি। নানির ইচ্ছা ছিল মেট্রোতে চড়ার। তা পূরণ করলাম।'
আজ সকালে শেওড়াপাড়া স্টেশনে ১ ঘণ্টার বেশি সময় অবস্থান করায় ৬০ টাকা বাড়তি গুণতে হয়েছে দীপু দাসকে। স্টেশনের সিআরএ মোহাম্মদ রনি বলেন, 'স্টেশনে কেউ ১ ঘণ্টার বেশি সময় থাকলে তাকে "ওভার বিল" হিসেবে ৬০ টাকা বাড়তি দিতে হবে। এর চেয়ে বেশি সময় থাকলে সেটার জন্য আরও অতিরিক্ত টাকা গুণতে হবে।'
ঢাকা ম্যাস ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ সকাল সাড়ে ৮টায় শেওড়াপাড়া ও উত্তরা দক্ষিণ স্টেশন ২টি যাত্রীদের জন্য খোলা হয়েছে।'
এর মধ্য দিয়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের ৯টি স্টেশনই চালু হলো।
সকালে প্রথমদিকে যাত্রী সংখ্যা কম থাকলেও পরে তা কিছুটা বাড়তে দেখা গেছে।
গত ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন। এর পরদিন থেকে তা জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
প্রথমে কোনো বিরতি ছাড়াই উত্তরা থেকে আগারগাঁও রুটে মেট্রোরেল চলাচল করে। পরে পর্যায়ক্রমে বাকি স্টেশনগুলো চালু হয়।
Comments