প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দাওয়াত পত্রে অতিথি তালিকায় নিচে ছোট করে নাম লেখায় একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
রোববার দুপুরে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভা বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় রূপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক।
মারধরের শিকার ছাত্তার জুট মিলস আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলি রোববার দুপুরে লোকজন দিয়ে তাকে পিটিয়েছেন।
স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে।
শিক্ষক আবুল কালাম বলেন, 'আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলার হাটাবো এলাকায় একটি ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে এলাকাবাসী। মাহফিলে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে প্রধান অতিথি এবং কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র ও পৌর যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামকে উদ্বোধক করা হয়েছে। মাহফিল উপলক্ষে ছাপানো দাওয়াতপত্র ও পোস্টারে বিশেষ অতিথি হিসেবে গোলাম রসুলের নাম দেওয়া হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'আয়োজক হিসেবে স্থানীয় কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে রোববার দুপুরে গোলাম রসুলের বাড়িতে মাহফিলের দাওয়াত পত্র নিয়ে যাই। সে সময় তিনি নিজের নাম অতিথির তালিকায় নিচে এবং ছোট করে লেখা হয়েছে উল্লেখ করে আয়োজকদের গালাগালি করেন।'
'তার বাড়ি থেকে ফেরার পর কাঞ্চন বাজারে যাই। সেখানে লোকজন নিয়ে এসে গোলাম রসুল লাঠিসোটা দিয়ে আমাকে বেধড়ক পেটান। মারধরের পর তিনি বলেছেন যে আমরা তাকে অপমান করেছি। দাওয়াতপত্র ও পোস্টার ঠিক করে আমরা যেন তার কাছে নিয়ে যাই,' বলেন আবুল কালাম।
তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে গোলাম রসুল কলি ডেইলি স্টারকে বলেন, তার এক সমর্থকের সঙ্গে শিক্ষক আবুল কালামের কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে হাতাহাতিও হয়।
তিনি দুজনের মধ্যে মীমাংসা করে দেন বলেও দাবি করেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, গোলাম রসুল কলির সঙ্গে পৌর মেয়র রফিকুল ইসলামের বিরোধ আছে। দাওয়াত পত্রে প্রতিপক্ষের নাম উপরে থাকাতে গোলাম রসুল কলি ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও, তা বন্ধ পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (রূপগঞ্জ-আড়াইহাজার সার্কেল) আবির হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্কুলের প্রধান শিক্ষককে মারধরের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
Comments