‘ডেটা সুরক্ষা আইন’ নিয়ে ঢালাও মন্তব্য না করার আহ্বান আইনমন্ত্রীর
প্রস্তাবিত ডেটা সুরক্ষা আইন নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের মন্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সবাইকে এ বিষয়ে কোনো ধরনের ঢালাও মন্তব্য না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
আজ সোমবার ঢাকার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (জেএটিআই) পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজদের ১১তম ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ডেটা সুরক্ষা আইন প্রতিটি দেশের জন্য প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এই আইনের খসড়া নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আরও আলোচনা হবে। এই আইন ডেটা সুরক্ষার জন্য, ডেটা নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়।'
তিনি বলেন, 'যেহেতু আলোচনার সুযোগ আছে, তাই আমি সবাইকে অনুরোধ করব এ বিষয়ে এ ধরনের ঢালাও মন্তব্য না করার জন্য। ডেটা সুরক্ষা আইনের খসড়া নিয়ে কোনো অসুবিধা হলে আমরা পর্যালোচনা করতে ইচ্ছুক। আমি আশা করব যে সবাই এই ধরনের ঢালাও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন।'
আইনমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। যেখানে প্রত্যেকের মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে।'
'আমরা তাদের মতামত শুনে আইন প্রণয়নের জন্য সমস্ত রীতিনীতি অনুসরণ করব', বলেন তিনি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস চলতি মাসে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, তাদের দেশের ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন প্রস্তাবিত আইনে তাদের পক্ষে এখানে ব্যবসা করা আরও কঠিন হয়ে উঠবে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, 'আমরা উদ্বিগ্ন যে, ডেটা সুরক্ষা আইন যদি পাস করা হয়, তবে বর্তমানে বাংলাদেশে কাজ করছে এমন কিছু মার্কিন কোম্পানিকে বাজার ছেড়ে যেতে বাধ্য করতে পারে।'
এর আগে তিনি আইনজীবীদের বলেন, প্রায় ৩৭ লাখ মামলার বোঝা নিয়ে যথাসম্ভব স্বল্প সময় ও খরচে বিচারিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। বিচারাধীন মামলার জট কমিয়ে আনা বিচার বিভাগের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিচারকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।'
এ সময় প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজদের নিজ নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে কীভাবে মামলার জট কমিয়ে এনে দ্রুত মানসম্পন্ন বিচার সেবা প্রদান করা যায় সেই পরামর্শ দেন আইনমন্ত্রী।
প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।
Comments