আইএমএফের ঋণ পেতে এখনো আলোচনা চলছে: সংসদে অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে বলেছেন, চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) আইএমএফ (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ঋণ পাওয়া যায়নি। একটি ঋণের বিষয়ে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, 'চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক থেকে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পাওয়া গেছে। এই ঋণ ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য।'
সংরক্ষিত আসনের সদস্য নাজমা আকতারের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সংসদকে বলেন, 'কৃষি ঋণের সুদ মওকুফের কোনো পরিকল্পনা নেই।'
এর কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, 'ব্যাংক আমানতকারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে কৃষকদের ঋণ দেয়। আমানতকারীদের ব্যাংকের সুদ দিতে হয় বলে প্রচলিত নিয়মে ব্যাংকের পক্ষে কৃষকদের দেওয়া ঋণের সুদ মওকুফ করা সম্ভব হয় না।'
জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, 'গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কর-রাজস্ব কম আদায় হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্বব্যাপী মুদ্রা নীতি ও ব্যয় সংকোচন নীতি ইত্যাদি কারণে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় কিছুটা ব্যর্থ হয়েছে।'
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের উত্তরে ডলার সংকট কমাতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা সংসদে তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'ডোমেস্টিক ব্যাংকিং ইউনিটকে (স্থানীয় ব্যাংক) তাদের অফশোর ব্যাংকিং অপারেশন থেকে বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল সংগ্রহের প্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে, যা চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বলবত থাকবে।'
এম আবদুল লতিফের আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'গত ২০২১-২২ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির হার পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। টাকার অংকে ১২ হাজার ৩৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ ১ লাখ ৩ হাজার ৬৫২ কোটি ৮ লাখ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৯১ হাজার ২৬৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।'
ময়মনসিংহ-১১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'চলতি মাসের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে ডলার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩২ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।'
Comments