দুদক সচিবের হাতে পদায়ন ও বদলির ক্ষমতা, টিআইবির উদ্বেগ

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ

অনুসন্ধান ও তদন্তে নিয়োজিত উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পদায়ন ও বদলির ক্ষমতা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের হাত থেকে সরিয়ে সচিবের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআইবি)।

টিআইবি বলেছে, এর ফলে দুর্নীতি প্রতিকারে কমিশনের ক্ষমতা পদদলিত হওয়ার ভয়ানক শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সচিবের ক্ষমতা বাড়িয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে পুরোনো 'দুর্নীতি দমন ব্যুরো'র মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের অপপ্রয়াস চলছে বলেও মনে করছে টিআইবি।

আজ এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী দুদকের নির্বাহী ক্ষমতা চেয়ারম্যান ও তার নেতৃত্বে কমিশনারদের হাতে অর্পিত এই প্রতিষ্ঠানের মূল ম্যান্ডেট-সংক্রান্ত উক্ত নির্বাহী ক্ষমতা ঢালাওভাবে সচিবের হাতে অর্পণের এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি কী প্রক্রিয়ায়, কোন যুক্তিতে হলো? কমিশনের ক্ষমতা খর্ব হবার শঙ্কার বিষয়টি কতোটা বিবেচিত হয়েছে? সিদ্ধান্তটি কি কমিশন কর্তৃক সজ্ঞানে গৃহীত, নাকি এতদিন 'নখদন্তহীন বাঘ' হিসেবে কথিত এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাকে বাস্তবে রূপান্তর করার এক অশুভ প্রয়াসের ফসল, এমন প্রশ্ন ওঠা খুবই স্বাভাবিক। এসব প্রশ্নের যৌক্তিক উত্তর পাওয়া জরুরি। বিশেষ করে, কমিশন কেন নিজের হাতে থাকা ক্ষমতা আমলাতন্ত্রের হাতে নিরঙ্কুশভাবে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো? সেটিরও স্পষ্টীকরণ প্রয়োজন।'

গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগের দৃষ্টান্ত অনুসরণের যে ব্যাখ্যা দুদকের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে তা দুদক যে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান নয় তা অনুধাবনে ব্যর্থতার পরিচায়ক- উল্লেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান এই আদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শুধু উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নই নয়, এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের বলে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের চাকরী স্থায়ী ও নিয়মিতকরণ, চলতি দায়িত্ব প্রদান, ভাতা ও ছুটি, পেনশন, পিআরএল এবং মামলার সাজার প্রেক্ষিতে পুরস্কার ইত্যাদি সকল ক্ষমতা আমলাতন্ত্রের হাতে অর্পিত হওয়ায়, দুদক এখন পুরোপুরিভাবে প্রাক্তন ব্যুরোতে সম্পূর্ণভাবে রূপান্তরিত হওয়ার ক্ষেত্রে আর কিছুই বাকি থাকলো না। 

দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে পদদলিত না করতে অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

7h ago