১ মাস ধরে নষ্ট ষোলশহর রেলগেটের ব্যারিয়ার, ঝুঁকি নিয়ে চলছে গাড়ি
গত ১ মাস ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর ২ নম্বর রেলগেটের ২টি ব্যারিয়ার। ফলে, ওই লেভেল ক্রসিং দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
নগরের ব্যস্ততম রেলগেটগুলোর একটি ষোলশহর। এই গেট দিয়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, নাজিরহাট ও দোহাজারীগামী অন্তত ১৮টি ট্রেন চলাচল করে। ব্যারিয়ারের গিয়ার না থাকায় এই গেট দিয়ে ট্রেন পারাপারের সময় গাড়ি আটকে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে গেটম্যানদের।
রোববার দেখা যায়, ট্রেন আসার আগে গেটম্যান লাটির সাহায্যে গাড়ি থামার সংকেত দিচ্ছেন। তবে, তার সংকেত না মেনে ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন পার হতে দেখা গেছে অনেক গাড়ি চালককে।
পথচারী মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গাড়ির পাশাপাশি অনেক পথচারী ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন পার হচ্ছে। ব্যস্ততম এই গেটে ব্যারিয়ার না থাকা ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা দ্রুত ব্যারিয়ার মেরামতের দাবি জানাচ্ছি।'
ব্যারিয়ার না থাকায় চিন্তিত ট্রেন চালকরাও। লোকো মাস্টার ওমর ফারুক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ব্যারিয়ার না থাকায় ভয়ের মধ্যে ট্রেন চালাতে হচ্ছে। মাঝে মাঝে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হচ্ছে। ফলে শিডিউল ঠিক থাকছে না।'
গেটম্যান শিল্পী বেগম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কোনো গাড়ি ব্যারিয়ারগুলো ভেঙে পালিয়েছে। তবে, আমরা কোনো গাড়িকে শনাক্ত করতে পারিনি।'
তিনি আরও বলেন, 'ব্যারিয়ার না থাকায় দায়িত্ব পালন করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি দুর্ঘটনা এড়াতে। তবে, ব্যারিয়ার পুনরায় মেরামত করা না হলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।'
ষোলশহর রেল স্টেশনের মাস্টার ফখরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ব্যারিয়ারগুলো মেরামত করে দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েছি। কিন্তু এখনো ব্যারিয়ার মেরামত করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।'
রেলওয়ের চট্টগ্রামের বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) হাফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ব্যারিয়ারের গিয়ার নষ্ট থাকার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যেহেতু এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম রেলগেট। তাই আমি এই গেটের ব্যারিয়ারগুলো দ্রুত মেরামত করার ব্যবস্থা করব।'
২০১৬ সালের ১৬ মে এই রেলগেটে বাস ও তেলবাহী ওয়াগনের সংঘর্ষের ২ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছিলেন।
Comments