ঘন কুয়াশার কারণে শাহজালালে অবতরণ করতে পারেনি ৪ ফ্লাইট

Shahjalal Airport
ছবি: স্টার ফাইল ফটো

ঘন কুয়াশার কারণে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪টি ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি।

বেশ কয়েক ঘণ্টা আকাশে ঘোরাঘুরি করার পর, একটি ফ্লাইট চট্টগ্রামে এবং ৩টি ফ্লাইট ভারতের কলকাতা বিমানবন্দরে স্থানান্তর করা হয় বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর সূত্র।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে ফ্লাইটের পাইলটরা অবতরণের আগে রানওয়ে দেখতে পাননি। ফলে দোহা ও শারজাহ থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ২টি ফ্লাইট এবং আবুধাবি থেকে ঢাকায় এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইট অবতরণ করতে ব্যর্থ হয় এবং কলকাতা বিমানবন্দরের দিকে ডাইভার্ট করা হয়। পরে ফ্লাইটগুলো নিরাপদে সেখানে অবতরণ করে।

এ ছাড়া দুবাই থেকে ঢাকাগামী ফ্লাই দুবাইয়ের ফ্লাইট ঢাকার পরিবর্তে চট্টগ্রামে ডাইভার্ট করা হয়েছে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, ভিস্তারা এয়ারলাইন্স এবং গালফ এয়ারসহ বেশ কয়েকটি ফ্লাইটও শাহজালালে দেরিতে অবতরণ করে। একই কারণে ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে প্রায় ডজনখানেক ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি। 

বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, আজ সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ঘন কুয়াশার কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল ব্যাহত হয়। কুয়াশা কিছুটা কমে যাওয়ায় সকাল ১১টা থেকে রানওয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়।

শাহজালাল বিমান বন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, রানওয়ের দৃশ্যমানতা কম থাকায় ৪টি ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করতে না পেরে চট্টগ্রাম ও কলকাতায় অবতরণ করেছে।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, যে ফ্লাইটগুলো আকাশে উড়ছিল কুয়াশা কেটে যাওয়ার পর তাদের প্রথমে অবতরণের সুযোগ দেওয়া হয়।

কামরুল ইসলাম আরও বলেন, 'কুয়াশার ওপর আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে আমরা জনবল বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি যাতে কুয়াশা কেটে যাওয়ার পর অনেকগুলো ফ্লাইট একই সময়ে অবতরণের পর দ্রুত অভিবাসন ও অন্যান্য কাজ করা যায়।'

তিনি আরও বলেন, 'অন্যান্য বিমানবন্দরে অবতরণকারী ফ্লাইটগুলো ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English
India visa restrictions for Bangladeshi patients

A wake-up call for Bangladesh to reform its healthcare

India’s visa restrictions on Bangladeshi nationals, while initially perceived as a barrier, could serve as a wake-up call for Bangladesh to strengthen its healthcare system and regain the confidence of its patients.

12h ago