সরকারের দমন নীতির নিন্দা, ২৪ নাগরিকের বিবৃতি

বিএনপির সমাবেশ
বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকা থেকে তোলা ছবি। ছবি: এমরান হোসেন/স্টার

সভা-সমাবেশের অধিকার সংবিধানসম্মত মৌলিক অধিকার জানিয়ে সরকারকে এ অধিকারের লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের ২৪ নাগরিক।

সেইসঙ্গে বিএনপির ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশ কেন্দ্র করে দমন নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তারা।

আজ রোববার এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।

বিবৃতিতে তারা বলেন, 'বিএনপির প্রস্তুতি সমাবেশে পুলিশের গুলি করে একজনকে হত্যা ও আরও অনেককে আহত করা, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির নেতাকর্মীতের ঢালাওভাবে গ্রেপ্তার ও মামলা দায়ের এবং বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের হামলার ঘটনা বাক-স্বাধীনতা ও সভা-সমাবেশের অধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে আমরা মনে করি।'

একই সাথে বিরোধী রাজনৈতিক দল ও ভিন্নমতকে দমন করার জন্য পুলিশ বাহিনী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর খবরদারি, নাগরিকদের দেহ ও মোবাইল ফোন তল্লাশিসহ যে বিভিন্ন ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছে তা গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের পরিপন্থী জানিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানান তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, 'সভা-সমাবেশের অধিকার আমাদের সংবিধানসম্মত মৌলিক অধিকার। আমরা সরকারকে এ অধিকারের লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি। বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন- নির্যাতন থেকে বিরত থাকার দাবি জানাচ্ছি। উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া যেসব বিএনপির নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি করছি।'

বিবৃতিদাদাতারা হলেন-- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান, মানবাধিকার কর্মী হামিদা হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, শিক্ষাবিদ আনু মুহাম্মদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সুব্রত চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও নাসরিন খন্দকার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম,  আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, মানবাধিকার কর্মী শারমীন মুরশিদ, শিরিন প হক, নূর খান লিটন, রেহনুমা আহমেদ, আইনজীবী সালমা আলী, হানা সামস আহমেদ, নাসের বখতিয়ার, গবেষক বীণা ডি'কস্টা, সায়দিয়া গুলরুখ ও রোজিনা বেগম।

Comments

The Daily Star  | English

No scope to verify authenticity when cases are filed: IGP

Instructions have already been issued to ensure that no one is arrested in a harassing manner, he says

40m ago